বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার মুখে দেশজুড়ে নতুন করে গুঞ্জন উঠেছে (Pm Modi) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে। রাজধানী দিল্লির রাজনৈতিক অলিন্দে এখন সবচেয়ে(Pm Modi) আলোচিত বিষয় — প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় কি বড়সড় পরিবর্তন আসন্ন? শাসকদলের অন্দরের একাধিক সূত্রের ইঙ্গিত, এই রদবদল শুধু নিয়ম মাফিক নয়, বরং আগামী নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজির অঙ্গ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।(Pm Modi)
সরকারি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী দফতরের (PMO) তরফে ইতিমধ্যেই একাধিক মন্ত্রীকে কড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যাঁদের দফতরে এখনও একাধিক প্রকল্পের ফাইল ঝুলে রয়েছে বা যেসব কাজ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ হয়নি, সেগুলি দ্রুত শেষ করতে হবে। ‘ডেলিভারি’য়ে ঘাটতি হলে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবেন না প্রধানমন্ত্রী — এমনটাই বার্তা।(Pm Modi)
বিশেষ করে যেসব প্রকল্প সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, যেমন আবাসন, পয়নিষ্কাশন, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা কিংবা ডিজিটাল পরিকাঠামো, সেগুলির কাজ যাতে দ্রুত গতিতে সম্পূর্ণ হয়, সেদিকেই জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলিকে কেন্দ্র করে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে জনমানসে প্রভাব ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।(Pm Modi)
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের অভিমত, মন্ত্রিসভার রদবদল হলে তা হবে কার্যকারিতা, ইমেজ এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যের উপর ভিত্তি করেই। সরকারের অন্দরের একাংশের মতে, যারা পরপর কয়েকবার সংসদে অনুপস্থিত থেকেছেন, কিংবা জনসংযোগে পিছিয়ে পড়েছেন — তাঁদের জায়গায় নতুন মুখ আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে শরিক দলের প্রতিনিধিদের জন্যও কিছু মন্ত্রকের আসন খালি রাখা হতে পারে, বিশেষ করে বিহার ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিকে মাথায় রেখেই।
বিহারে ২০২৫-এ বিধানসভা নির্বাচন। ফলে সেখানকার এনডিএ শরিকদের আরও(Pm Modi) বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র থেকে আরও একজনকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন। একইভাবে, শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী) ও এনসিপি (অজিত পওয়ার শিবির) থেকেও নতুন মুখ দেখা যেতে পারে মন্ত্রিসভায়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই এবার নতুন প্রজন্মকে সামনে আনতে চাইছেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই কিছু তরুণ মুখকে তুলে ধরে একদিকে যেমন ‘নতুন ভারত’-এর বার্তা দেওয়া যাবে, অন্যদিকে প্রশাসনিক উদ্দীপনা বাড়ানোও সম্ভব হবে। ফলে ৪৫-৫০ বছরের কম বয়সি নেতাদের জন্য জায়গা তৈরি হতে পারে।(Pm Modi)
তবে শুধু নতুন মুখই নয়, কিছু অভিজ্ঞ মন্ত্রীকেও ‘ব্যাক আপ’ হিসেবে অন্য গুরুত্বপূর্ণ দফতরে রদবদল করে বসানো হতে পারে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জে পি নড্ডা যেহেতু এখন মন্ত্রিসভাতেও এসেছেন, তাই নির্বাচন পরিচালনার বাইরে তাঁর প্রশাসনিক ভূমিকা আরও বাড়বে। পাশাপাশি, যেসব মন্ত্রী বিজেপির সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হতে পারেন, তাঁদেরও কিছুটা ‘ফ্রি’ করা হতে পারে।(Pm Modi)
সব মিলিয়ে, বাদল অধিবেশন শেষ হতেই দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে আরও একপ্রস্থ উত্তেজনার সূচনা হতে চলেছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রধানমন্ত্রী কবে এই রদবদলের ঘোষণা করবেন, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের। সময়ের অপেক্ষা মাত্র