গত দেড় মাস ধরে রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে একের পর এক নিম্নচাপ। (Vegetable price) আর সেই নিম্নচাপের জেরে টানা বর্ষণে কার্যত ভেসে গিয়েছে শহর থেকে গ্রাম। কোথাও (Vegetable price) জলমগ্ন রাস্তাঘাট, কোথাও বা ডুবে গিয়েছে ফসলের জমি। একদিকে কৃষিজমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকায় বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়েছে, অন্যদিকে সেই ক্ষতির ধাক্কা এসে পড়েছে শহরের বাজারে। ফল? অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম।(Vegetable price)
রবিবার সকালে বাজারে পা রেখেই হোঁচট খেয়েছেন মধ্যবিত্ত।(Vegetable price) আজ সোমবারও তাই। এক হাতে বাজারের থলে, আর অন্য হাতে মাথায় হাত! ফুলকপি যেটা মাসখানেক (Vegetable price) আগেও ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত, সেটা এখন এক লাফে ৭০-৮০ টাকা। বেগুন কেজিপ্রতি ৮০ ছুঁইছুঁই। পটল, উচ্ছে, কাঁকরোল, শশা— সবকিছুরই দাম অন্তত ২০-৩০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। শুধু দাম নয়, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জিনিসের অপ্রাপ্যতা। বাজারে গেলেই দেখা যাচ্ছে, বিক্রেতারা বলছেন— “মাল আসছে কম, যা আসছে তাও ভালো নয়।”(Vegetable price)
জলমগ্ন মাঠে দীর্ঘদিন ধরে চাষ করতে না পারায় কৃষকদের সমস্যা বেড়েছে বহুগুণ। অনেক ক্ষেতেই বীজ পুঁতেও ফল হয়নি। কোথাও বন্যার জলে নষ্ট হয়েছে আগেই ফলানো সবজি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সরবরাহ কমেছে এবং তার প্রভাব পড়েছে খুচরো বাজারে।(Vegetable price)
কলকাতার গড়িয়া, যাদবপুর, বেহালা থেকে শুরু করে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, হাতিবাগান— সর্বত্র একই ছবি। দাম শুনেই মুখ গোমড়া করছেন সাধারণ ক্রেতারা। এক মধ্যবয়স্ক মহিলা বললেন, “এইভাবে চলতে থাকলে তো শুধু ডাল-ভাত খেয়ে থাকতে হবে! ছোট বাচ্চা আছে, ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে একটু সবজি কিনতে গেলেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।”(Vegetable price)
এখন শুধু শহর নয়, জেলাগুলোর অবস্থাও তথৈবচ।(Vegetable price) হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর— সর্বত্রই টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে ফসল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক চাষি জানান, “ধানের জমিতে এবার চাষ করতে পারিনি। যেটুকু সবজি ছিল, তা-ও বৃষ্টির জলে পচে গেছে। এখন যেটুকু উঠছে, সেটা বাঁচিয়ে বাজারে পাঠাতে গিয়ে আমাদের খরচই উঠে আসছে না।”(Vegetable price)
বাজারের এই অস্থিরতা কতদিন চলবে তা (Vegetable price) এখনও স্পষ্ট নয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শাকসবজি চাষে নতুন করে গতি আসবে না এখনই। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সরকারকে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে— যাতে তারা ক্ষতি কাটিয়ে আবার উৎপাদনে ফিরতে পারেন।
তবে আপাতত সাধারণ মানুষকে (Vegetable price) রোজ বাজার করতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতেই হচ্ছে। যে সব পরিবার মাসের শুরুতে একটা নির্দিষ্ট বাজেট করে চলে, তাদের সেই হিসেব উলটে গিয়েছে একেবারে। বাড়ছে রান্নার খরচ, আর কমছে পাতে সবজির পরিমাণ। বৃষ্টির জল যেমন খেত ভাসিয়েছে, তেমনি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ও।
এখন প্রশ্ন একটাই— এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় কোথায়? সাধারণ মানুষের প্রার্থনা, প্রকৃতি একটু যেন দয়া করে। যাতে থামে বৃষ্টি, শুকায় জমি, সবজি চাষে ফেরে স্বাভাবিকতা। তার আগে অবধি, পকেট চেপে, দাম শুনে শ্বাস ফেলেই বাজার থেকে ফিরতে হবে মধ্যবিত্তদের।(Vegetable price)