ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR Voter List) জন্য এসআইআর জরুরি বলে মনে করে (CPIM) সিপিআইএম। অভিযোগ, রাজ্যে ভুয়ো ভোটারের ছড়াছড়ি। বিহারের আদলে রাজ্যে ভোটার সংশোধনী তৎপরতা শুরু হতেই রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে।
শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত ডিগ্রি জাল। আর সাধারণ মানুষকে একের পর এক নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এসআইআর’র নামে এখন নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকেই শুরু হয়েছে এনআরসি’র নোটিশ দেওয়া। তখন বিজেপি বুঝিয়েছিল কেবল মুসলমানদের নোটিশ দেওয়া হবে। এখন দেখা যাচ্ছে যে কেউ বিপদে পড়তে পারেন। আসামে তা দেখা গিয়েছে। কোচবিহারে যাঁরা আসামের এনআরসি’র নোটিশ পাচ্ছেন তাঁরা মুসলিম নন। শুরু হয় মুসলিমদের লক্ষ্য বানিয়ে।”
এসআইআর-এ তৃণমূল বলেছে রাজ্যের কারও নাম বাদ পড়বে না বলেছে। বামপন্থীরা রাজ্যে ভোটার তালিকায় বারবার সংশোধনের দাবি জানালেও এতদিন কমিশন নীরব থেকেছে বলে জানান সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘পিসি-ভাইপো দু’জনে খানদানি মিথ্যাবাদী। ২০০৬’র ভোটের আগে মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশি নামের কথা তুলে বাংলার ভোটার লিস্ট ছুঁড়ে মেরেছিলেন। ওনাকে কে বিশ্বাস করবে?’’
সেলিম বলেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত ডিগ্রি জাল। আর সাধারণ মানুষকে একের পর এক নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এসআইআর-এর নামে এখন নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকেই শুরু হয়েছে এনআরসি’র নোটিশ দেওয়া। তখন বিজেপি বুঝিয়েছিল কেবল মুসলমানদের নোটিশ দেওয়া হবে। এখন দেখা যাচ্ছে যে কেউ বিপদে পড়তে পারেন। অসমে তা দেখা গিয়েছে। কোচবিহারে যারা অসমের এনআরসি’র নোটিশ পাচ্ছেন তাঁরা মুসলিম নন। শুরু হয় মুসলিমদের লক্ষ্য বানিয়ে।”
শিলিগুড়িতে সেলিম বলেন, ‘‘আধার কার্ড চালু করেছে দেশের সরকার। কমিশন বলছে বৈধ ভোটারের প্রমাণ হিসেবে এই নথি মানা হবে না। রেশন কার্ড যদি জাল হয় তার দায় তো রাজ্যের খাদ্য দফতরের। ভোটার হিসেবে বৈধ প্রমাণের নথি থেকে রেশন কার্ড বাদ দিয়ে হেনস্তার মুখে ফেলা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’’