১ আগস্ট পালিত হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস (East Bengal Foundation Day)। প্রথাগত রীতিতে এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় সকাল ১১.৩০টায় ক্লাবের তিন প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী, শৈলেশ বসু এবং ডা. রমেশ (নশা) সেনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সূচনা হয় দিনের কর্মসূচির। উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া, সাধারণ সম্পাদক রূপক সাহা এবং শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার (Debabrata Sarkar)।
এরপর ক্লাব প্রাঙ্গণে উত্তোলন করা হয় ইস্টবেঙ্গলের পতাকা। আকাশে ওড়ে লাল-হলুদ বেলুন, আর মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের রঙ। কাটা হয় বিশাল কেক, উদযাপন করা হয় প্রতিষ্ঠা দিবস। ক্লাব তাঁবুতে সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি প্রাক্তন খেলোয়াড়, বর্তমান কর্মকর্তা থেকে সদস্য এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের উপস্থিতিতে ক্লাব প্রাঙ্গণ পরিণত হয় এক স্মৃতিময় মিলনমেলায়।
এবছরের প্রতিষ্ঠা দিবসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন দিক ছিল ১৯৭৫ সালের ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ড ফাইনালের ৫০ বছর পূর্তি। মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে সেই ম্যাচ আজও লাল-হলুদের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। দেবব্রত সরকার বলেন, “সমর্থকদের অনেকেরই দাবি ছিল এই ৫০ বছর নিয়ে চলচ্চিত্র বানানো। আমাদের কাছে একাধিক প্রস্তাব আসছে। মানুষের চাহিদা হচ্ছে শেষ কথা সমর্থকরা চাইছে ইতিহাস নিয়ে চর্চা করতে আমরা করব।”
বিকেলে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় ‘ইস্টবেঙ্গল দিবস’। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্লাব শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “আমরা একটা রূপরেখা তৈরি করেছি, যতক্ষণ আমাদের সুযোগ দেওয়া হবে ততক্ষণ আমরা কাজ চালিয়ে যাব। কোচ অস্কার ব্রুজোর কথায় আমরা অনুপ্রাণিত। উনি হচ্ছেন আমাদের দলের অধিনায়ক, আমরা তার দেখানো পথেই চলব।”
ক্লাবের ‘ভারত গৌরব’ সম্মান এবার প্রদান করা হয় ভারতের প্রাক্তন হকি অধিনায়ক পি আর শ্রীজেশকে। দেবব্রত সরকারের কথায়, “এটা শুধু ইস্টবেঙ্গলের জন্য নয়, দেশের জন্যও এক গর্বের মুহূর্ত।” এক্সইসঙ্গে রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য যোগ করে দেবব্রত সরকার জানান, “আমরা শুধু নিজেদের সীমার মধ্যেই কাজ করি না, দেশ-বিদেশের সঙ্গে আমাদের সংযোগ তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের ভবিষ্যতের ভাবনার অংশ।”