আজ ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা দিবস। বিগত বছর গুলির মতো এবার ও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে এই বিশেষ দিনটি। সকালে পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের অনুষ্ঠানের পর পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারে বিকেলে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগে সম্মানিত করা হয় ক্রীড়া জগতের নানা ব্যক্তিবর্গকে। যার মধ্যে প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি মেমোরিয়ালে সম্মানিত করা হয় বাংলা ফুটবল দলের বর্তমান কোচ সঞ্জয় সেনকে (Sanjoy Sen)। পুষ্প স্তবক ও মিষ্টির পাশাপাশি গৌরবময় স্মারক তুলে দেওয়া হয় এই বাঙালি কোচের হাতে।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে এই অনন্য সম্মানে সম্মানিত হয়ে যথেষ্ট খুশি সঞ্জয় সেন। এই পুরস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” এটা আমার কাছে কোনও ভাষা নেই। যে ক্লাবে আমার ১ শতাংশ ও অবদান নেই সেই ক্লাবটা আমাকে আজকে যে সম্মানে সম্মানিত করল এটার যোগ্য কিনা আমি জানিনা। কিন্তু এটা একমাত্র ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষেই সম্ভব। সারা ভারতবর্ষে আপনি যত ক্লাব খুঁজে দেখবেন একা একমাত্র ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষেই সম্ভব। পাশাপাশি যারা সদস্য, সমর্থক সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছেন তাদের বলব যে শূন্যতা যাচ্ছে সেটা সাময়িক মেঘ ক্ষণিকের চির দিবসের সূর্য। আশা রাখুন ভালো কিছু আসছে। আমি যদি কখনও ভবিষ্যতে সুযোগ আসে সুদে আসলে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।”
এছাড়াও পিকে ব্যানার্জির ছাত্র হওয়ার প্রসঙ্গে ময়দানের এই সফল কোচ বলেন, ” আপনারা অনেকেই জানেন না আমি যখন এনআইএস করি তখন আমি ইস্টার্ন রেলওয়ের কর্মী ছিলাম। প্রদীপ দা আমাদের দায়িত্বে থাকতেন। তারপর গত ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইস্টার্ন রেলওয়ের মতো দলে কোচিং করাই। প্রদীপদা হয়তো কিছু দেখেছিলেন আমার মধ্যে। তাই জন্যই হয়তো রেলওয়ে এফসির মতো দলে আমাকে নিযুক্ত করেছিলেন। অনেকেই আছেন যারা সেকেন্ড ডিভিশন থার্ড ডিভিশন কিংবা ফোর্থ ডিভিশনে সুযোগ পায় না সেখানে আমার কাছে সুযোগ এসেছিল। এই দলের কোচ হয়ে নিজেকে প্রকাশ করার। আমি সেটাই করেছি। পরবর্তীতে যতটা পেরেছি আমি নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছি। আমি এখনও শিখছি।
আরও বলেন, “আজকের এই সম্মান আমাকে অনেকটাই অনুপ্রাণিত করবে। প্রদীপ দা থাকলে খুব ভালো লাগতো। জানি না আমি যোগ্য হিসেবে পেয়েছি কিনা। তবে ওনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা আজীবন থাকবে।”