শুক্রবার, এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে (WB VC Appointments) দিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারিশ মেনেই করতে হবে রাজ্যের (WB VC Appointments) দুই গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় হল — কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গের কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় এই রায়কে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন অনেকে।(WB VC Appointments)
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, রবীন্দ্রভারতী(WB VC Appointments) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে হবে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে, যাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ তালিকায় ছিল। অন্যদিকে, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের(WB VC Appointments) জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ‘অর্ডার অফ প্রেফারেন্স’ অনুযায়ী তালিকায় যিনি প্রথম স্থানে ছিলেন, তাঁকেই নিয়োগ করতে হবে উপাচার্য পদে। এই রায়ের ফলে, রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের দীর্ঘদিনের টানাপড়েন ও মতানৈক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের আপাতত অবসান ঘটল(WB VC Appointments)
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যপাল এবং রাজ্য(WB VC Appointments) সরকারের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চরম সংঘাত চলছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ না মেনে একতরফাভাবে একাধিক উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, যিনি আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার আদালতের দ্বারস্থ হয়। ফলে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং অধ্যাপকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছিল।(WB VC Appointments)
শুক্রবারের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত শুধু এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিষয়ে পরে বিবেচনা করা হবে। চার সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত এই নিয়োগ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।(WB VC Appointments)
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় শুধু উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নয়, বরং রাজ্যের সংবিধানিক ক্ষমতা বনাম আচার্যের ভূমিকা নিয়েও একটি দিশা দেখাচ্ছে। একদিকে সংবিধান অনুযায়ী আচার্য তথা রাজ্যপালের কিছু নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে, আবার অন্যদিকে নির্বাচিত সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভারসাম্য রক্ষাই ভবিষ্যতের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।(WB VC Appointments)
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, “এটি ন্যায়বিচারের জয়। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার যে যুক্তি দিয়ে আসছিল, আজ সেই যুক্তিকেই সমর্থন জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”(WB VC Appointments)
অন্যদিকে, বিরোধী দল বিজেপি জানিয়েছে, এই রায় (WB VC Appointments) আংশিক এবং এখনও পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত আসেনি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চার সপ্তাহ পর পুরো বিষয়টি আবার আদালতে উঠবে। আমরা দেখছি শিক্ষার মান কীভাবে প্রভাবিত হয়। উপাচার্য নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমরা চাই না।”
অভিভাবক মহল ও শিক্ষা মহলেও এই রায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ বলছেন, এতে স্থিতিশীলতা ফিরবে, আবার কেউ বলছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শিক্ষার ক্ষতি করতে পারে।(WB VC Appointments)
যাই হোক, আপাতত সুপ্রিম কোর্টের এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায় সূচিত করল। আগামী শুনানিতে আদালতের চূড়ান্ত রায় কী হয়, সেদিকেই এখন নজর শিক্ষা মহলের।