পহেলগাঁওয়ে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার ঠিক পরই পাল্টা পদক্ষেপ নেয় ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী (India launched Op Shiv Shakti)। মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে ১২ জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা। গোপন সূত্রের খবর, নিহতদের মধ্যে ৬ জন পাকিস্তানি জঙ্গি, বাকি ৬ জন কাশ্মীরের স্থানীয় এবং নানা বড় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এর পাশাপাশি, ৬-৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাকিস্তানে চালানো গোপন অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় বাহিনী। ওই অভিযানে ড্রোন এবং দূরপাল্লার অস্ত্রের সক্রিয় ব্যবহার ছিল বলে সূত্রের দাবি।
অপারেশন মহাদেব ও শিবশক্তি: নিশানা পাকিস্তানি মডিউল
পহেলগাঁও হামলায় জড়িত তিন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সুলেমান, আফগান ও জিবরানকে ২৮ জুলাই কাশ্মীরের ডাচিগাম এলাকায় যৌথ অভিযানে খতম করে সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এই অভিযানকে ‘অপারেশন মহাদেব’ নাম দেওয়া হয়।
পরদিনই শুরু হয় ‘অপারেশন শিবশক্তি’। সেখানে আরও দুই জঙ্গিকে খতম করা হয় সেনার পৃথক অভিযানে।
অভিযান চলছে টানা, সীমান্তে কড়া নজর
এক উচ্চপদস্থ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “এই ধরনের প্রতিরোধমূলক অভিযান প্রতিদিনই চলছে। কাশ্মীর উপত্যকার প্রায় প্রতিটি জেলাতেই নির্দিষ্ট ইউনিটের নিজস্ব এলাকা চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
পহেলগাঁও হামলার পর প্রথম সপ্তাহেই দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা, শোপিয়ানে চারটি বড়সড় অভিযান চালানো হয়। মে মাসের মাঝামাঝি আরও দুটি বড় অভিযান হয়, যার একটি ট্রালের নাদের অঞ্চলে। সেখানেও তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।
পিওকে-তে ৪২টি লঞ্চ প্যাড, নজরে জঙ্গি ঘাঁটি
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, পহেলগাঁও হামলার আগে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) ৪২টি লঞ্চ প্যাডে প্রায় ১১০-১৩০ জন জঙ্গি সক্রিয় ছিল। এর পাশাপাশি, কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় ৭০-৭৫ জন ও জম্মু, রাজৌরি, পুঞ্চ এলাকায় আরও ৬০-৬৫ জন জঙ্গির উপস্থিতির তথ্য ছিল গোয়েন্দাদের হাতে।
এই অবস্থায় সীমান্তে সতর্কতা ও বাহিনীর অভিযানের তীব্রতা দু’টিই একযোগে বেড়েছে। সেনা সূত্রে বলা হচ্ছে, এই অভিযান চলবে আরও বৃহত্তর পরিসরে, যতক্ষণ না জঙ্গি-ঘাঁটি পুরোপুরি নির্মূল হচ্ছে।