গত মরসুমে একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের দলের সঙ্গে যুক্ত করেছিল মুম্বাই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। কিন্তু তবুও খুব একটা প্রভাব ফেলা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ডুরান্ডের তথৈবচ পরিস্থিতি হওয়ার পর দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল বানিজ্য নগরীর এই দল। এক্ষেত্রে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে ড্র করেই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল পেট্র ক্র্যাটকির ছেলেরা। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে ও আটকে যেতে হয়েছিল জামশেদপুর এফসির কাছে। সেটা কিছুটা হলেও হতাশ করেছিল সকলকে। মাঝে দল জয়ের মুখ দেখলেও সেটা স্থায়ী ছিল না।
সময় এগোনোর সাথে সাথেই আইএসএলের একাধিক ফুটবল দলের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল এই আইএসএল জয়ীদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছিল পয়েন্ট টেবিলে। যারফলে সুপার সিক্সে স্থান করা নিয়ে দেখা দিয়েছিল ধোঁয়াশা। কিন্তু দ্বিতীয় লেগ থেকেই বদলাতে শুরু করেছিল পরিস্থিতি। একের পর এক ফুটবল দলকে ধরাশায়ী করে লিগের ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত করেছিল দেশের বানিজ্য নগরীর এই ক্লাব। তারপর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম নকআউট ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেরা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল জেরার্ড জারাগোজার শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাঁচ গোলের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল দল।
শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই শেষ হয়েছিল ফুটবল সিজন। যা ভালোভাবে নেয়নি সিটি ম্যানেজমেন্ট। ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন সমর্থকরা। তা নজরে রেখেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। যারফলে দল থেকে বাদ পড়তে শুরু করেছিলেন একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলার। আসলে নতুন করে নিজেদের সাজিয়ে তোলাই প্রধান লক্ষ্য সিটি ম্যানেজমেন্ট। সেই ছাঁটাইয়ের তালিকায় ছিল ডাচ ফুটবলার ভ্যান নিফের (Van Nieff) নাম। মাসকয়েক আগেই তাঁকে রিলিজ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল মুম্বাই শিবির। শোনা যাচ্ছিল নতুন সিজনে হয়তো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অন্য কোনও ফুটবল ক্লাবে খেলতে দেখা যেতে পারে এই তারকাকে।
কিন্তু না। অবশেষে সাইপ্রাসের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব অ্যানোরথোসিস ফামাগুস্তা এফসিতে যোগদান করলেন এই বিদেশি মিডফিল্ডার। জানা গিয়েছে, আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত আপাতত তাঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে এই ফুটবল দলের। পরবর্তীতে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সেই ফুটবল ক্লাব।