ভগ্নদশার জেরে বন্ধ হল কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন (Mamata)। এর দায় কে নেবে ? রাজনৈতিক মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। উত্তর দিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজনের দাবি তারা দীর্ঘদিন মেট্রোর জন্য দাবি করেছিলেন। সুজন দাবি করেছেন টালিগঞ্জের পরে এই এক্সটেনশন যখন হয় তখন কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সুজন আরও দাবি করেছেন দিল্লী টাকা দেয়নি, দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সুজনের দাবি অনুযায়ী সেই সময় স্টেশন তৈরির নামে যথেচ্ছ কাটমানি খেয়েছেন মমতা। তিনি বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন সেই সময় থেকেই কাটমানি খাওয়ার হাতে খড়ি নিয়েছেন মমতা। যার ফলশ্রুতিতে আজ বন্ধ হল কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন।
২৮ জুলাই সোমবার দুপুরে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে পরিষেবা বন্ধ হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানায়, সমস্যা শুধু যান্ত্রিক নয়, স্টেশনের একাধিক পিলারে ফাটল ধরা পড়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে এই ফাটল আরও প্রকট হয়েছে বলে জানানো হয়।
ফলে, নিরাপত্তার কারণে মেট্রো কর্তৃপক্ষ কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে মেট্রো পরিষেবা শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত সীমিত করা হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ভিড় ও যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন (২০০৯-২০১০) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় টালিগঞ্জ থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রোর সম্প্রসারণ প্রকল্পে রাজ্য সরকারের তহবিল ব্যবহৃত হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়। সুজনের দাবি, এই প্রকল্পে ব্যাপক কাটমানি ও দুর্নীতি হয়েছে, এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন থেকেই “তোলাবাজি ও কাটমানির কারবারে হাত পাকিয়েছেন।”
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “মাত্র ১৫ বছরে মেট্রো স্টেশনের এমন ভগ্নদশা কীভাবে সম্ভব? এর দায় কে নেবে? তৎকালীন রেলমন্ত্রী, না বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী?” তিনি বলেন, “এই ফাটল শুধু পিলারে নয়, তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির জ্বলন্ত উদাহরণ।”কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন বন্ধ হওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার যাত্রীরা চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন।
এই স্টেশনটি শিয়ালদহ-সোনারপুর রেললাইনের নিউ গড়িয়া রেলস্টেশনের পাশে অবস্থিত এবং ব্লু লাইন ও অরেঞ্জ লাইনের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। স্টেশন বন্ধের ফলে বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে যাত্রীরা বাস ও অন্যান্য যানবাহনে অতিরিক্ত ভিড়ের সম্মুখীন হচ্ছেন। একজন যাত্রী, সৌমেন দাস, বলেন, “অফিস টাইমে মেট্রো ছাড়া আমাদের যাতায়াত অসম্ভব। এখন বাসে এত ভিড় যে সময়ে পৌঁছানো যায় না। এত বড় স্টেশনে ফাটল কীভাবে হল?”
এশিয়া কাপ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে, ভারত-পাক ম্যাচ বাতিলের দাবি প্রাক্তন নাইট তারকার
রাজনৈতিক তরজা চলছে চলবে। বিরোধী বনাম সরকারের লড়াই আজকের বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো স্টেশনটির পিলারে ফাটল, যাত্রী সুরক্ষার জন্য বিশাল বিপদ। এর দায় কে নেবে ? নাকি প্রত্যেকবারের মত রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে “তু তু ম্যায় ম্যায়” করে যাবে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এটাই যে যাত্রীদের জীবনের মূল্য ও কি রাজনীতির অংকে মাপা হবে ?