কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম ম্যাচে মেসার্স ক্লাবের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল সকল ফুটবলারদের। কিন্তু পরবর্তীতে বজায় ছিল না সেই ধারাবাহিকতা। টানা দুইটি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল লাল-হলুদ । সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে ধাক্কা খেতে হয়েছিল মামনী পাঠচক্রের বিরুদ্ধে। একটি মাত্র গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন আগেই হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মশাল ব্রিগেড।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে কল্যাণীর বুকে শেষ হাসি হেসেছিল লাল-হলুদ শিবির। একটা সময় দুইটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে হলেও দ্বিতীয়ার্ধে অনায়াসেই সেই দুটি গোল শোধ করেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। স্বাভাবিকভাবেই সময় যত এগিয়ে ছিল ততই চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল মোহনবাগান। তবে সুযোগ বুঝেই প্রতি আক্রমণে উঠে গোল করে গিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলার ডেভিড লালহানসাঙ্গা। তাঁর গোলেই শেষ পর্যন্ত আসে জয়। মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতে বর্তমানে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ইস্টবেঙ্গল। এবার সেই ধারা বজায় রাখাই প্রধান লক্ষ্য বিনো জর্জের ছেলেদের।
সেইমর্মে মঙ্গলবার বিকেলে টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। এবার সেই ম্যাচে জয়ের ধারা বজায় রাখার মরিয়া চেষ্টা থাকবে সকলের। উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই দলের ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন রিজার্ভ দলের কোচ। এসবের মাঝেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল মোহাম্মদ আশিকের নাম। শোনা যাচ্ছিল প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের কথা মাথায় রেখে তাঁকে যুক্ত করা হতে চলেছে দলের স্কোয়াডে। সেটাই হয়েছে এবার।
সব ঠিকঠাক থাকলে বিএসএস ম্যাচেই তাঁকে মাঠে নামাতে পারেন বিনো জর্জ। পূর্বে কলকাতা লিগের আরেক সক্রিয় ক্লাবে খিদিরপুর এসসির হয়ে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স ছিল এই ফুটবলারের। তা মাথায় রেখেই এই তরুণ ফরোয়ার্ডকে দলে টানে ইস্টবেঙ্গল। এবার নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ।