গত শনিবার কলকাতা ফুটবল লিগের ডার্বি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল বিনো জর্জের শক্তিশালী ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে মশাল ব্রিগেড। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল দুইটি গোলে এগিয়ে গেলেও পরবর্তীতে অর্থাৎ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লিওন কাস্টানা এবং কিয়ান নাসিরির গোলে সমতায় ফিরেছিল সবুজ-মেরুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডেভিড লালহানসাঙ্গার গোলের পর আর ম্যাচে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি মেরিনার্সদের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত মরসুমের প্রথম ডার্বিতে জয় ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ বাগান সমর্থকরা। অন্যদিকে, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কল্যাণীর মাঠ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন সবুজ-মেরুনের যুব দলের কোচ ডেগি কার্ডোজো। সেই নিয়ে পরবর্তীতে বাগান কোচকে উদ্দেশ্য করে চাঁচাছোলা মন্তব্য করে বসেন কল্যাণী পৌরসভার চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ” আপনি ভাবুন তো একটা কাউন্টার অ্যাটাকের তিনটি পাস থেকে গোল তুলে নিয়ে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল। এটা দলের মাঝমাঠ? আপনি দলের কোচ? ফিজিক্যাল এডুকেশন ভালো করে পড়েছেন তো। সেটা নিয়ে বলুন। অহেতুক মাঠ নিয়ে মন্তব্য রাখবেন না। আগে মাঠের ঘাস চিনবেন তারপর কথা বলতে আসবেন।”
তবে সেখানেই শেষ নয়। পরবর্তীতে আরও বলেছিলেন, “ময়দানের বড় দলের কোচ বলেই যে তিনি সবটা জানবেন সেটা একদম নয়। এটা বুঝতে হবে।” উল্লেখ্য, বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফের বৈঠকের পর কল্যাণীকে ডার্বি ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল সবুজ-মেরুন কর্তাদের মধ্যে। যদিও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সেভাবে আর অভিযোগের আঙুল ওঠেনি।
কিন্তু ম্যাচের প্রথমদিকে অর্থাৎ প্রথমার্ধে প্রেস বক্সের কাঁচের অসচ্ছতা এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেলেও ম্যাচ আয়োজনে খুব একটা ত্রুটি দেখা যায়নি তাঁদের তরফে।