হিমাচল প্রদেশে(Himachal Pradesh) চলতি বর্ষা মৌসুম ব্যাপক ধ্বংসের ছাপ রেখে চলেছে। রবিবার রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১,৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
রাজ্য জরুরি অবস্থা পরিচালনা কেন্দ্র (SEOC) জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ৪২টি আকস্মিক বন্যা, ২৫টি মেঘভাঙন এবং ৩২টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এইসব প্রাকৃতিক বিপর্যয় জনজীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।
রবিবার স্থানীয় আবহাওয়া দফতর কাংড়া, কুল্লু, মান্ডি ও শিমলার কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাজ্যের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ধর্মশালায় ৩৫ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর মালরাওয়ে ২৬.৪ মিমি, কাংড়ায় ২৬ মিমি, ধৌলাকুয়ানে ১৭.৫ মিমি, কাহুতে ১৪.৫ মিমি, মানালিতে ১১ মিমি, জোটে ১০.৮ মিমি, জুব্বেরহাট্টিতে ১০.৪ মিমি, বাজাউরায় ১০ মিমি, জোগিন্দরনগরে ৬ মিমি এবং নারকান্দায় ৫.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরনগর, শিমলা, মুরারি দেবী ও জুব্বারহাট্টি অঞ্চলে বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটেছে।
প্রবল বৃষ্টির জেরে রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সড়ক সহ প্রায় ২০০ টি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে ৭৫টি বিদ্যুৎ বিতরণ ট্রান্সফরমার এবং ৯৭টি জল সরবরাহ প্রকল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষ করে মান্ডি জেলায় পরিস্থিতি গুরুতর। এখানে ৩০ জুন রাতে একাধিক মেঘভাঙনের ঘটনায় মানালি-কোটালি সড়ক (NH-70) সহ প্রায় ১৩১টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কুল্লু জেলাতেও ভূমিধসের কারণে কেখসু ও ঝেদে এলাকার জাতীয় মহাসড়ক (NH-305) সাইঞ্জ থেকে অট পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায়নি। কুকুমসেরি ছিল রাতের সবচেয়ে ঠান্ডা স্থান, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, উনা ছিল দিনের সবচেয়ে উষ্ণ স্থান, যেখানে তাপমাত্রা উঠেছে ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।