বীরভূম জেলার যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে রবিবার ঘটে গেল এক নৃশংস (Birbhum Mamata Banerjee) রাজনৈতিক সংঘর্ষ, যা একদিকে যেমন স্থানীয় জনমানসে তীব্র অশান্তি সৃষ্টি করেছে, তেমনি রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা সফরে যাওয়ার ঠিক আগে, যখন ভাষা আন্দোলনের সূচনা হওয়ার কথা ছিল রবি ঠাকুরের ‘প্রিয় বোলপুর’ থেকে, ঠিক তখনই এই রক্তারক্তি কাণ্ডের ঘটনা ঘটল।(Birbhum Mamata Banerjee)
যশপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধ
যশপুরের ঘাসবেড়া আদিবাসী গ্রামে জমি নিয়ে দুটি তৃণমূল গোষ্ঠীর(Birbhum Mamata Banerjee) মধ্যে বিরোধ ছিল। দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে তীব্র অস্থিরতা চলছিল। একদিকে ছিল তৃণমূলের লাল খাঁ গোষ্ঠী, অন্যদিকে ছিল শেখ জানে আলম গোষ্ঠী। এই দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে চলছিল। কিন্তু রবিবার তা চরম আকার ধারণ করে এবং প্রকাশ্যে চলে আসে খন্ডযুদ্ধ। জমি নিয়ে উত্থিত এই বিরোধ দিন দিন তীব্র হয়ে ওঠে, যা শেষমেশ হাতাহাতি এবং মারামারির রূপ নেয়।(Birbhum Mamata Banerjee)
সংঘর্ষে লাঠি, রড, রক্তারক্তি কাণ্ড
দুপুরের পর থেকেই স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে।(Birbhum Mamata Banerjee) খবর পাওয়া যায়, লাঠি, লোহার রড হাতে দুই গোষ্ঠী একে অপরকে আক্রমণ করতে শুরু করে। এই ঘটনাটি একেবারে অশান্তি এবং সহিংসতায় রূপ নেয়। হাতাহাতির মধ্যেই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে, এবং অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গোটা এলাকায় ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ, কিন্তু সংঘর্ষের মূল হোতা শেখ জানে আলম গোষ্ঠী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ লাল খাঁ গোষ্ঠীর লোকদের ধরলেও, জানে আলম গোষ্ঠীকে কোনোভাবে ধরা যায়নি।(Birbhum Mamata Banerjee)
গুরুতর আহত তৃণমূল নেতারা
এই সংঘর্ষে গুরুতরভাবে আহত হন লাল খাঁ গোষ্ঠীর প্রধান(Birbhum Mamata Banerjee) এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা লাল খাঁ। তার ভাইপো সেকেন্দার খাঁও মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের দ্রুত সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা তাদের শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করছেন এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, তাদের আহত অবস্থার কারণে অতি শীঘ্রই তাদের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে(Birbhum Mamata Banerjee)
পুলিশের তৎপরতা এবং পরিস্থিতির অবনতি
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করলেও, সংঘর্ষের কারণ হিসেবে যে রাজনৈতিক গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব দায়ী, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। লাল খাঁ গোষ্ঠী কিছুটা শৃঙ্খলা ধরে রাখতে সক্ষম হলেও, শেখ জানে আলম গোষ্ঠী ঘটনার পরপরই এলাকা ত্যাগ করে। পুলিশের বিভিন্ন দল এলাকা ঘেরাও করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, তবে সংঘর্ষের একেবারে মূল কারণ খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি
এই সংঘর্ষের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে যশপুরে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করতে যাওয়ার কথা থাকলেও, এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা তার সফরের প্রভাবকে তীব্রভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য সরকারের মধ্যে যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব রয়েছে, তারই একটি স্পষ্ট চিত্র এটি। এছাড়া, রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা যেন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে বলে মনে হচ্ছে।
অসন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ
এমন রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষের জীবন নিরাপদ নয়। তাদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছে। যশপুরের মানুষের দাবি, রাজনৈতিক শান্তি ও উন্নয়নের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে পুরো এলাকাটাই অস্থির হয়ে যাবে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও, অনেকেই মনে করছেন যে, এই ধরনের সংঘর্ষ আর বাড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই। এলাকার রাজনীতির রাশ বর্তমানে প্রশাসনের হাতে, এবং তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিলে অশান্তি রোধ করা সম্ভব হতে পারে।