তুরস্কের থেকে ৪৮টি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনেছে বিশ্বের বৃহত্তম এই মুসলিম দেশ

Turkey-Indonesia Deal: তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়া একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে ইতিহাস তৈরি করেছে। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মেলা (IDEF) চলাকালীন ৪৮টি KAAN…

Turkey KAAN fighter jet

Turkey-Indonesia Deal: তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়া একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে ইতিহাস তৈরি করেছে। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মেলা (IDEF) চলাকালীন ৪৮টি KAAN যুদ্ধবিমান বিক্রির জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি তুরস্কের এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রথম রফতানি চুক্তি।

১১ জুন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এই চুক্তির ঘোষণা করেন এবং এটি এখন আনুষ্ঠানিক। চুক্তির প্রথম ক্রেতা ইন্দোনেশিয়া এখন তুরস্কের দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে, তুরস্ক কেবল আন্তর্জাতিকভাবে তার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রদর্শন করেনি বরং তার দেশীয় মহাকাশ প্রকল্পগুলিকে বিশ্ব পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।

   

কেন KAAN Fighter J সেরা ৫ম প্রজন্মের বিমান?

Advertisements

KAAN ফাইটার জেট হল তুরস্ক কর্তৃক তৈরি একটি অত্যাধুনিক ৫ম প্রজন্মের ফাইটার বিমান, যা আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব, নির্ভুল আক্রমণ এবং বহুমুখী ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এর প্রথম প্রোটোটাইপ ২০২৩ সালে চালু করা হয়েছিল এবং ২০২৪ সালে এর প্রথম সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হয়েছিল। মূল বৈশিষ্ট্যগুলির কথা বলতে গেলে, KAAN ফাইটার জেটটির রাডার এড়াতে একটি উন্নত নকশা রয়েছে। এর সুপারসনিক গতি রয়েছে। এটি আকাশে যুদ্ধ, স্থল আক্রমণ এবং নজরদারিতে পারদর্শী। এটি ডিজিটাল এভিওনিক্স এবং এআই দিয়ে সজ্জিত। KAAN আগে TF-X নামে পরিচিত ছিল। টার্কি ২০২৮ সালে এর সিরিয়াল উৎপাদন শুরু করবে এবং ইন্দোনেশিয়ায় এর সরবরাহ ২০৩০ সাল থেকে শুরু হবে।

ইন্দোনেশিয়ার জন্য এই চুক্তির গুরুত্ব এই চুক্তি ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। KAAN ক্রয় কেবল ইন্দোনেশিয়ার জন্য একটি প্রযুক্তিগত উন্নয়নই নয়, এটি দেশটির মহাকাশ সক্ষমতায় তুরস্কের সাথে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের ভিত্তিও স্থাপন করে। তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা জানিয়েছে যে এই চুক্তিটি প্রকৌশল, উৎপাদন এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করে। এটি দুটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যে কৌশলগত গভীরতা এবং বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটায়।