চলতি প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্টের। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই তাঁদের পরাজিত হতে হয়েছিল পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে। সেই পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল সমর্থকদের। সেই হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিল বাগান ব্রিগেড। সেইমতো গত কয়েকদিন আগেই কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছিল মোহনবাগান। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের।
Also Read | এই মিজো মিডফিল্ডারকে দলে সই করাল চানমারি এফসি
তারপর লিগের তৃতীয় ম্যাচে রেলওয়ে এফসিকে পরাজিত করে নিজেদের হারানো ছন্দে ফিরে আসে সবুজ-মেরুন শিবির। সেই ম্যাচে উভয় দলের বেশ কিছু ফুটবলার লাল কার্ড দেখলেও জয়ের ধারা বজায় রাখতে খুব একটা সমস্যা ছিল না মেরিনার্সদের। জর্জ টেলিগ্রাফের সঙ্গে অমীমাংসিত ফলাফলে ম্যাচ শেষ করার পর কালীঘাট মিলন সংঘকে পরাজিত করেছিল ডেডি কার্ডোজোর ছেলেরা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যেখানে প্রথম থেকেই নাস্তানাবুদ হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল বাগান ফুটবলারদের।
Also Read | ইনজুরি সমস্যায় চিন্তিত ইস্টবেঙ্গল কোচ! জানালেন দলের অবস্থা
আসলে প্রতিপক্ষের অভিজ্ঞ ফুটবলারদের সামনে বারংবার ব্যাকফুটে চলে আসছিল সবুজ-মেরুন। তবে প্রথমার্ধে দুইটি গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে দাপুটে কাম ব্যাক করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ডেভিড লালহানসাঙ্গার গোল বদলে দিয়েছিল ম্যাচের সমীকরণ। যারফলে কল্যাণী থেকে শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হলো ডেগি কার্ডোজোর ছেলেদের। পরবর্তী ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন অন্যতম লক্ষ্য সকল ফুটবলারদের। তবে লড়াইটা যে সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন সকলে। তার ওপর রয়েছে চোট আঘাতের সমস্যা।
গত শনিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা জানিয়ে দেন মোহনবাগানের জুনিয়র দলের কোচ। সেই অনুযায়ী বর্তমানে চোটের সমস্যায় ভুগছেন মিডফিল্ডার সালাউদ্দিন আদনান এবং সন্দীপ মালিক। ডেগি কার্ডোজোর কথায় বর্তমানে তাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে মেডিকেল টিম। পরবর্তীতে পরিষ্কার হয়ে যাবে সমস্ত কিছু।