মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা দুই হেভিওয়েটের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে এত বাম সমর্থক কোথা থেকে এলো প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। আর তমলুকে সিপিআইএমের (CPIM) মিছিল দেখে জেলার বাম নেতাদের হাসি চওড়া। “দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের উপর আক্রমনের প্রতিবাদে বামফ্রন্টের মিছিল” অনুষ্ঠিত হয়।
ভিন রাজ্যে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হেনস্থার অভিযোগে সরব শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ভাষার উপর হামলার জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকারের সমলোচনায় সরব। বিজেপির মেরুদণ্ড সংঘ পরিবারের সঙ্গে মমতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এমন দাবি করে বাম নেতৃত্বের কটাক্ষ নির্বাচনের আগে বাঙালি সহানুভূতি তাস খেলছেন তৃণমূল নেত্রী।
সিপিআইএমসহ বামফ্রন্ট শরিকদলগুলির তরফে ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপর হেনস্থার প্রতিবাদ চলছে রাজ্য জুড়ে। পূর্ব মেদিনীপুর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা। ফলে তমলুকে মিছিল থেকে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মূল আক্রমণ শানালেন বিজেপির দিকে। তমলুকের মানিকতলা থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখেন সুজন চক্রবর্ত্তী। তিনি বলেন, ‘‘যখন বৃটিশরা বাংলাকে ভাগ করেছিল। তখন এই বিভাজনে সহযোগিতা করে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীরা। এখন আবার বাঙালিদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ করছে আরএসএস বিজেপি। দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে কেবলমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বললে তাদের বাংলাদেশী তকমা দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রে সাতশোর কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূলের সৌমেন মহাপাত্র। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য। নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় বাম প্রার্থীর ৩৮ শতাংশ ভোট চলে গেছে বিজেপির দিকে। এই ভোট সুইংয়েই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কড়া টক্কর হয়েছিল। হারানো ভোট ফিরে পেতে মরিয়া বাম শিবির।
তমলুকের বাম মিছিলে বিপুল ভিড় দেখা গেছে। এই ভিড় ফের ভোটে বাম পক্ষে ঢুকলে তমলুকের নির্বাচনী ফলাফল চমকপ্রদ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।