রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। এক বছর পার করেই সরে দাঁড়াবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতবছর জুলাই-আগস্ট মাস জুড়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধী আন্দোলনে রক্তাক্ত। বিক্ষোভকাপীদের চাপের মুখে দেশত্যাগ করেন হাসিনা। এরপর যে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ফের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) দেশের নির্বাচনসহ সমসাময়িক বেশ কিছু ইস্যুতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, জুলাই সনদ ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনার নাম না নিয়ে বলেন, কিছু শক্তি গণ্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভণ্ডুল করার অপচেষ্টা করছে।
গণবিক্ষোভে হাসিনা সরকারের পতন হতেই রাষ্ট্রপতি ভেঙে দেন জাতীয় সংসদ। ফলে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন পুরোপুরি বাতিল হয়। ফের নির্বাচনের ঘোষণার জন্য সংস্কার কর্মসূচি শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে বারবার ভোট করানোর জন্য চাপ তৈরি করা হয়। নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। তার এমন মন্তব্যে বাংলদেশের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন।
উল্লেখ্য শেখ হাসিনার টানা তিন দফার সরকারের সময় জাতীয় পার্টি দু দফা সংসনে বিরোধী দল হলেও সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলত। হাসিনা জমানা অবসানের পর জাতীয় পার্টির তরফে বলা হয় দলেরই একটি গোষ্ঠী সরকারের কাছে নতজানু হয়েছিল। আর ভোট কারচুপির অভিযোগে বারবার নির্বাচন বয়কট করলেও বাংলাদেশে মূল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দলটি দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সরব।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নিষ্ক্রিয়। আসন্ন নির্বাচনে অপর দুই গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলো জামাত ইসলামিসহ একাধিক ইসলামি সংগঠন ও গণবিক্ষোভ পরবর্তী শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। এছাড়া কিছু আসনে কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) লড়াই দেবে।