গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো যাত্রীদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া(Air India) ও তার মালিক সংস্থা টাটা গ্রুপ। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, জুন মাসে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় নিহত ২২৯ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৪৭ জন যাত্রীর পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনাস্থলে নিহত ১৯ জন কর্মীর পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও ৫২টি পরিবারের প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করা হয়েছে এবং তাদের প্রতিও ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, এই কঠিন সময়ে তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য তারা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই ঘটনার পর টাটা গ্রুপ ‘দ্য এআই-১৭১ মেমোরিয়াল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ গঠন করেছে। যা আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার লক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছে। ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রত্যেক নিহত যাত্রীর পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার সময় ক্ষতিগ্রস্ত বি জে মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের অবকাঠামোগত সংস্কারেও সাহায্য করবে এই ট্রাস্ট।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, “দুর্ঘটনার পরে অমূল্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা এবং পরিষেবা প্রদানকারী প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াশীল, চিকিৎসা ও দুর্যোগ ত্রাণ পেশাদার, সমাজকর্মী এবং সরকারি কর্মীদের যে কোনও আঘাত বা দুর্দশা লাঘবের জন্য ট্রাস্ট সহায়তা প্রদান করবে।”
উল্লেখ্য, ১২ জুন লন্ডনের গ্যাটউইক যাওয়ার পথে আহমেদাবাদে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ড পরেই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-171, যাতে ২৬০ জন যাত্রী ছিলেন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরে সংস্থাটি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে ফ্লাইটের সাময়িক হ্রাস এবং বোয়িং ৭৮৭ এবং ৭৩৭ বিমানের বহরের পরিদর্শন সম্পন্ন করা।
বিমান সংস্থা জানিয়েছে, তাদের B787 বিমানের জ্বালানি সুইচ সংক্রান্ত পরিদর্শন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিষেবায় ‘নিরাপত্তা বিরতি’ পালন করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতের যাত্রী নিরাপত্তা আরও মজবুত করা যায়।