২৬ জুলাই কলকাতা ফুটবলের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা হল। প্রথমবারের মতো ময়দানের দুই প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট মুখোমুখি হল (Kolkata Derby) কলকাতা থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরের কল্যাণী স্টেডিয়ামে। ঐতিহাসিক এই ডার্বিতে দাপট দেখিয়ে প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই অ্যাটাকিং ফুটবলে মনোযোগ দেয়। যদিও মোহনবাগানের দলে একাধিক তরুণ ফুটবলার থাকায়, অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ শিবির। প্রথম মিনিট থেকেই ইস্টবেঙ্গলের আগ্রাসন ছিল চোখে পড়ার মতো।
ম্যাচের ৬ মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সায়ান বন্দ্যোপাধ্যায় বক্সের ভিতর বল তুলে দেন এডমুন্ডের উদ্দেশ্যে। এডমুন্ড ব্যাক ভলি নিতে গিয়ে বল লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন। কিন্তু এর তিন মিনিট পরেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। ডেভিডের পাসে সায়ান বল পেয়ে বাড়িয়ে দেন জেসিনের উদ্দেশ্যে। জেসিনের নিখুঁত শটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল ।
এরপর ১৭ মিনিটে সুযোগ ছিল মোহনবাগানের সামনে। সুহেল ভাটের বাড়ানো বল সালাউদ্দিনের উদ্দেশ্যে গেলেও ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার মার্তন্ড রায়না বিপদমুক্ত করেন। ৩০ মিনিটে কিয়ান নাসিরির একটি দুর্দান্ত শট গোলবারে লেগে ফিরে আসে, ভাগ্য সহায় ছিল না সবুজ-মেরুন শিবিরের।
প্রথমার্ধের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত আসে ৪২ মিনিটে। ইস্টবেঙ্গলের ডেভিড বক্সে ঢোকার সময় মোহনবাগানের দীপেন্দু বিশ্বাস কনুই দিয়ে তাঁকে ফাউল করেন। ডেভিড পড়ে গেলে দীপেন্দুর পা ডেভিডের মাথায় লাগে। মাঠে উত্তেজনা ছড়ায়। এডমুন্ড ও প্রভাত শাকিরা প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দীপেন্দু ও মোহনবাগানের অন্য ফুটবলাররা। রেফারি যদিও কোন কার্ড দেখাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৪৫ মিনিটে ডেভিডের একটি ডান পায়ের শট সাইড নেটে গেলে ব্যবধান বাড়েনি। তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ৫১ মিনিটে এডমুনন্ডের পাস পেয়ে সায়ান বন্দ্যোপাধ্যায় লং রান করে এগিয়ে যান এবং বাগানের গোলকিপার দেবপ্রতাপ ঘোষকে কাটিয়ে নিখুঁত ফিনিশে বল জড়িয়ে দেন জালে। ২-০ করে দেয় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধের শেষে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল।