স্কুল চলাকালীন ছাদ ভেঙে আহত ৪ পড়ুয়া, হাপুরে চাঞ্চল্য

লখনউ: স্কুল চলাকালীন সময়েই হঠাৎ ভেঙে পড়ল ছাদের চাঙড়। প্লাস্টার খুলে পড়ার ঘটনায় গুরুতর আহত হল চারজন শিশু (school roof collapse 4 children injured)। ঘটনাটি…

school roof collapse 4 children injured

লখনউ: স্কুল চলাকালীন সময়েই হঠাৎ ভেঙে পড়ল ছাদের চাঙড়। প্লাস্টার খুলে পড়ার ঘটনায় গুরুতর আহত হল চারজন শিশু (school roof collapse 4 children injured)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

শুক্রবার সকালবেলায় ক্লাস চলাকালীন হঠাৎই এই বিপত্তি ঘটে। ছাদের লিন্টেল থেকে হুড়মুড়িয়ে চাঙড় খুলে পড়তে শুরু করে। হঠাৎ বিকট শব্দ ও ধুলোর ঘূর্ণিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা স্কুলচত্বর। ছাত্রছাত্রীরা চিৎকার করতে করতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। আশপাশের মানুষ ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও।

   

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত মাটি থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে চারজন আহত পড়ুয়াকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তারা সকলেই বিপন্মুক্ত তবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর শিক্ষা ও জন নির্মাণ বিভাগের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ঘুরে দেখেন। দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে দেওয়া হয়েছে যাতে আর কেউ প্রবেশ না করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহু দিন ধরেই স্কুল ভবনের অবস্থা বেহাল ছিল। এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, “আমরা বারবার জানিয়েছি স্কুলের ভবন দুর্বল হয়ে পড়েছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

এই ঘটনার আগের দিনই রাজস্থানের ঝালাওয়াড় জেলায় আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ছাদ ধসে মৃত্যু হয় সাতজন পড়ুয়ার। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

সেই স্কুল ভবনটি প্রায় ২০ বছরের পুরনো ছিল এবং ছাদ ছিল ভারী পাথরের স্ল্যাব দিয়ে তৈরি। যার ফলে ধস নামার অভিঘাত আরও মারাত্মক হয়।

ঝালাওয়াড়ের দুর্ঘটনায় নিহতরা সকলেই সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।

এই দুটি পরপর ঘটনার জেরে গ্রামীণ স্কুলগুলির পরিকাঠামো ও পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। অভিভাবক ও স্থানীয়রা এখন রাজ্যজুড়ে সব সরকারি বিদ্যালয়ের দ্রুত পরিদর্শন ও সংস্কারের দাবি তুলেছেন।