জম্মু-কাশ্মীরে আদিবাসী যুবক হত্যায় বরখাস্ত দুই পুলিশ, গঠন SIT

জম্মু ও কাশ্মীরে(Jammu-Kashmir) এক আদিবাসী যুবক মহম্মদ পারভেজের মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ ও ক্ষোভের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মহম্মদ পারভেজ হত্যার পর…

JK-police, representational

জম্মু ও কাশ্মীরে(Jammu-Kashmir) এক আদিবাসী যুবক মহম্মদ পারভেজের মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ ও ক্ষোভের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মহম্মদ পারভেজ হত্যার পর জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যাপক বিক্ষোভ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যার ফলে পুলিশ একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করে এবং ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়।

জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের গুলিতে ২১ বছর বয়সি পারভেজ নিহত হন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, একটি দল সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধাওয়া করার সময় তাদের উপর গুলি চালানো হয়। পরবর্তীকালে সংঘর্ষে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি আহত হন এবং তাকে চিকিৎসার জন্য জম্মুতে জিএমসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায়, ওই আহত ব্যক্তিই ছিলেন মহম্মদ পারভেজ।

   

তবে নিহতের পরিবার ও গুজ্জর-বাকেরওয়াল আদিবাসী সম্প্রদায় পুলিশের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ঘটনাটিকে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যা’ বলে বর্ণনা করে। এই ঘটনাটি ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করে, যার ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সহ অন্যান্য নেতারা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।

এদিকে, ঘটনায় এক নতুন মোড় আসে যখন পুলিশ তাদের প্রাথমিক বিবৃতির বিপরীতে গিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পারভেজকে মাদক কারবারি হিসেবে দেখানোর অভিযোগ তোলে।

Advertisements

সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে, দক্ষিণ জম্মুর পুলিশ সুপার অজয় শর্মা বলেন, “ছেলেটি (পারভেজ) একজন শহীদ এবং তার সহকর্মীরা এই সত্যটি সম্পর্কে অবগত। আমাদের উদ্দেশ্য সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা, ভাঙা নয়। আমরা একটি SIT গঠন করেছি এবং গুলিবিনিময়ের সাথে জড়িত দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছি।”

পারভেজের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার ওষুধ কিনতে বের হলে সাতোয়ারী থানা এলাকার সাদা পোশাকের একদল ব্যক্তি তাঁদের থামায়। তারা ভেবেছিল গোরক্ষকদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে এবং পালানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ গুলি চালায়।

তবে এই গুলি চালানোর প্রকৃত পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট। একাধিক বর্ণনা সামনে এসেছে, কিন্তু ঠিক কী কারণে ও কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও তদন্তাধীন।