ম্যানচেস্টারের ময়দানে অনন্য নজির স্টোকসের

ম্যানচেস্টারে চলছে তেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফির চতুর্থ টেস্ট (Ben Stokes)। এই মুহূর্তে ম্যাচের পরিস্থিতির তুল্য মূল্য বিচারে কিছুটা ব্যাকফুটে ভারত। জো রুট এবং বেন স্টোকসের সেঞ্চুরিতে সামান্য…

Ben Stokes touches imran khan

ম্যানচেস্টারে চলছে তেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফির চতুর্থ টেস্ট (Ben Stokes)। এই মুহূর্তে ম্যাচের পরিস্থিতির তুল্য মূল্য বিচারে কিছুটা ব্যাকফুটে ভারত। জো রুট এবং বেন স্টোকসের সেঞ্চুরিতে সামান্য দিশেহারা বুমরাহর বোলিং বাহিনী। এই সেঞ্চুরির মধ্যে দিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস ছুঁয়ে ফেলেছেন আরও এক ক্রিকেট ব্যাক্তিত্বকে।

দীর্ঘ ৪১ বছর পর এক ই ম্যাচে অলরাউন্ডার হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি। ভারতের প্রথম ইনিংসের পাঁচ পাঁচটি মূল্যবান উইকেট তুলে নেন স্টোকস। আবার ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে দলকে ২৫৬ রানে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেছেন তিনি। এই অনন্য নজির গড়ে তিনি প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইমরান খান কে ছুঁয়ে ফেললেন।

   

একজন অলরাউন্ডার অধিনায়ক হিসেবে ইমরান খানের ও এই কীর্তি আছে এবং আজ স্টোকস ও এই কীর্তিতে শামিল হলেন। ১৯৮৩ সালে ইমরান খান ভারতের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ৫ টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ টি উইকেট নেন। তার সঙ্গে প্রথম ইনিংসে করেন ১১৭ রান।

ম্যানচেস্টার টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে স্টোকসের সেঞ্চুরি দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে। তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা এবং আক্রমণাত্মক মানসিকতা ইংল্যান্ডের রান সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে, ভারতের প্রথম ইনিংসে তাঁর বোলিং ছিল মারাত্মক। তিনি ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটারদের উইকেট তুলে নিয়ে দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এই দ্বৈত ভূমিকায় তিনি প্রমাণ করেছেন কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার।এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসে জো রুটের সঙ্গে স্টোকসের জুটি ভারতীয় বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রুটের ধীরগতির কিন্তু স্থিতিশীল ব্যাটিং এবং স্টোকসের আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডকে বিশাল লিড এনে দিয়েছে। ভারতীয় বোলিং আক্রমণ, বিশেষ করে বুমরাহ, এই জুটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে কিছুটা হতাশ হয়েছেন।

Advertisements

স্টোকসের এই পারফরম্যান্স ম্যাচের ফলাফলের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।ইমরান খানের মতো কিংবদন্তির পাশে নিজের নাম যুক্ত করা স্টোকসের জন্য একটি বিশাল অর্জন। ইমরান খান তাঁর সময়ে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়ে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয় সহ অসংখ্য কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।

একইভাবে, স্টোকসও তাঁর আধুনিক “বাজবল” ক্রিকেট দর্শনের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁর এই কীর্তি শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত দক্ষতার প্রমাণই নয়, বরং তাঁর নেতৃত্বের ক্ষমতাকেও তুলে ধরেছে।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের BLO দায়িত্বে ছাড়ের দাবি সংসদের

স্টোকসের এই নজির ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি একই ম্যাচে বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে অলরাউন্ডারদের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছেন।