পাটনা: হোম গার্ড নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন ২৬ বছর বয়সি এক মহিলা প্রার্থী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত অ্যাম্বুল্যান্সেই ঘটল নারকীয় ঘটনা। অভিযোগ, সেই অ্যাম্বুল্যান্সেই তাঁকে একাধিক ব্যক্তি মিলে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে, অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও টেকনিশিয়ানকে (Woman gang-raped in ambulance)। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গয়া সহ গোটা বিহারে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ জুলাই, বোধগয়ার বিহার মিলিটারি পুলিশ মাঠে আয়োজিত শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার সময়। দৌড়ের মাঝপথে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই প্রার্থী। তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযোগ, সেই যাত্রাপথেই অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে ৩–৪ জন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে। পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানান, পথে তাঁর আংশিক জ্ঞান ফিরে আসে এবং তখনই তিনি নির্যাতনের বিষয়টি বুঝতে পারেন।
দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার, তদন্তে SIT
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নেয় গয়া জেলা পুলিশ। মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় দুই মূল অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিনয় কুমার এবং টেকনিশিয়ান অজিত কুমার। দু’জনই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে, চলছে জেরা।
গয়ার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SSP) একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছেন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বোধগয়ার এসডিপিও। তদন্ত তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন শহরের SP। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। অ্যাম্বুল্যান্সের যাত্রাপথে থাকা CCTV ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্ত এগোচ্ছে।
মেডিক্যাল টেস্ট ও জবানবন্দি সম্পন্ন
নির্যাতিতা মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষাও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি অভিযোগ করেছেন যে অ্যাম্বুল্যান্সে তিন থেকে চারজন তাঁকে যৌন নিগ্রহ করে। তদন্তে সেই প্রেক্ষিতেই বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চিরাগের
ঘটনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির (রামবিলাস) সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান। তিনি বলেন, “নিয়োগ শিবিরে অংশগ্রহণকারী এক প্রার্থী যদি অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেও সুরক্ষিত না থাকেন, তবে বিহারে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা দুর্বল, তা সহজেই অনুমেয়।” চিরাগ দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান।