২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস—ভারতের ইতিহাসে এক গর্বের দিন। (Kargil Vijay Divas) এই দিনে ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন বিজয় সফলভাবে সম্পন্ন করে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে কার্গিল সেক্টর পুনরুদ্ধার করেছিল। সেই বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের অমর স্মৃতিকে (Kargil Vijay Divas) স্মরণ করে প্রতি বছর এই দিনটি উদযাপিত হয়। এদিন গোটা দেশ শ্রদ্ধা জানায় শহিদ জওয়ানদের প্রতি। এই আবেগঘন দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় সেনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন।(Kargil Vijay Divas)
সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কিছু বিজয় কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জিত হয় না, জাতির হৃদয়ে গেঁথে থাকে।’ এই এক বাক্যেই তিনি তুলে ধরেছেন কার্গিল বিজয়ের তাৎপর্য—এটি কেবল এক যুদ্ধজয়ের ইতিহাস নয়, বরং এক গভীর আবেগের, আত্মত্যাগের এবং জাতিগত ঐক্যের প্রতীক।(Kargil Vijay Divas)
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে তাঁর দেশের বীর সেনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে, এক নাগরিক হিসেবে তিনি শহিদদের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়েছেন। তাঁর এই পোস্টে যেমন রয়েছে বীরত্বের কাহিনির প্রতি শ্রদ্ধা, তেমনই রয়েছে শান্তির বার্তা—যেখানে যুদ্ধ নয়, গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আত্মত্যাগের চিরস্থায়ী ছাপের প্রতি।(Kargil Vijay Divas)
কার্গিল যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারতীয় সেনারা কষ্টকর উচ্চতায় সংঘর্ষ চালিয়ে জয় ছিনিয়ে আনে। এই যুদ্ধে ৫০০-রও বেশি ভারতীয় সেনা প্রাণ দিয়েছেন। তাঁদের সেই ত্যাগ ও সাহসিকতা আজও দেশের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বার্তায় শহিদ সেনাদের স্মরণ করেই কেবল থেমে থাকেননি, বরং আজকের প্রজন্মের জন্যও একটি বার্তা রেখে গেছেন—স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কোনও সহজলভ্য বিষয় নয়, এর পেছনে রয়েছে অকথিত ত্যাগ ও নিঃস্বার্থ সাহসের দীর্ঘ ইতিহাস।(Kargil Vijay Divas)
তাঁর এই বার্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকেও সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যেখানে দলীয় বিভাজন ও মতপার্থক্য প্রায়শই সামনে আসে, সেখানে এই ধরনের সার্বজনীন ও সংহতির বার্তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।(Kargil Vijay Divas)
অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Kargil Vijay Divas) এই বার্তার প্রশংসা করেছেন। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সকলেই মনে করছেন—এই ধরণের রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এমন মানবিক বার্তা আশা করা যায় এবং সেটাই দেশের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক।(Kargil Vijay Divas)
কার্গিল বিজয় দিবস আমাদের শুধুমাত্র যুদ্ধজয়ের কথা মনে করিয়ে দেয় না, বরং শেখায়, কীভাবে সংকটময় মুহূর্তে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই শ্রদ্ধার বার্তা সেই ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।(Kargil Vijay Divas)
শেষ কথায় বলা যায়, ২৬ জুলাই শুধু একটি দিন নয়, এটি প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ের এক গর্বের অধ্যায়। আর সেই অধ্যায়ের প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও বার্তা প্রমাণ করে, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা কোনও রাজনৈতিক সীমানা মানে না। সেটা মানবিকতার পরিচয়, দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি।