কলকাতা: নিশ্ছিদ্র বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে এখন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোচ্ছে। এর জেরেই কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি (heavy rainfall due to deep depression)। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই নিম্নচাপের প্রভাবে উইকএন্ডেও বৃষ্টির কোনও বিরাম নেই।
কলকাতা জলের তলায়, নাকাল জনজীবন
বৃষ্টিতে কার্যত জলে ডুবে শহর কলকাতা। শুক্রবার রাত পর্যন্ত আলিপুরে ১১২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দমদমে তা ছাড়িয়েছে ১১৭ মিলিমিটার। সল্টলেকের অবস্থাও আলাদা নয়—সেখানে ১৬৭.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়। ডায়মন্ড হারবারে ৩০.৫ এবং দিঘায় ৯.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
শহরের রাস্তায় জমে রয়েছে জল। কোথাও গাছ ভেঙে পড়েছে, কোথাও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। যান চলাচলে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। সাধারণ মানুষ কার্যত ঘরবন্দি। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি, ন্যূনতম ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শনিবারও বৃষ্টি চলবে দিনভর দফায় দফায়৷
দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে কোথায় কতটা বৃষ্টি?
শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের আরও একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে।
রবিবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পংয়েও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়া, সতর্কতা জারি
২৯ জুলাই পর্যন্ত উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই পরিস্থিতিতে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
সব মিলিয়ে, দক্ষিণবঙ্গে আপাতত স্বস্তির নাম নেই। নিম্নচাপ যতদিন সক্রিয়, ততদিন এই ভিজে ভিজে দিনই সঙ্গী। উইকএন্ডেও তেমনই চিত্র বজায় থাকার আশঙ্কা।