সংবাদ সম্মেলনে মিঠুনের ‘দাদাগিরি’, পাল্টা ‘জলঢোড়া’ কটাক্ষ কুনালের

বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে কুনাল ঘোষ এবং মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun) উত্তর প্রত্যুত্তরের পর্ব চলছে। তবে বেশির ভাগ সময়েই তৃণমূল মুখপাত্রকেই কটাক্ষ করতে শোনা গেছে।…

Mithun and kunal clash

বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে কুনাল ঘোষ এবং মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun) উত্তর প্রত্যুত্তরের পর্ব চলছে। তবে বেশির ভাগ সময়েই তৃণমূল মুখপাত্রকেই কটাক্ষ করতে শোনা গেছে। কটাক্ষের সূত্রপাত হয়েছে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা থেকে। সেখানে মিঠুনের শীত বস্ত্রের মত পোশাক নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেন কুনাল।

এরপর মিঠুন ও পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন “মার খেয়ে বাড়ি ফিরবেন না। পারলে মেরে আসবেন।” এর পাল্টা কুনালও বলেছেন যে মিঠুন চক্রবর্তী রাজনৈতিক পরিভাষা জানেন না তিনি শুধু মাত্র গুন্ডামি করছেন। রাজনীতি করতে হলে মুখের ভাষা ঠিক করুন। ঠিক এর অব্যবহিত পরেই মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবসে তাকে শ্রদ্ধা না জানানোয় কুনাল আবারও সরব হন।

   

ঠিক ওই এক ই দিনে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কুনাল ঘোষকে পচা নর্দমার সাথে তুলনা করে কটাক্ষ করেন দাদা সাহেব ফালকে প্রাপ্ত ডিস্কো ডান্সার মিঠুন চক্রবর্তী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কুনাল আবার ফিরতি পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘জলঢোড়া’ বলে তির্যক মন্তব্য করেছেন।প্রসঙ্গত রাজনৈতিক মঞ্চে একবার ফিল্মের ডায়লগ বলতে গিয়ে মিঠুন নিজেকে জাত গোখরো বলেছিলেন। এই কটাক্ষ যে সেই সংলাপের পরিপন্থী তা বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই।

কুনাল তার এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে সাংসদ এবং অভিনেতা দীপক অধিকারীকে, যাকে বাংলার সিনেমা প্রেমী মানুষ দেব বলেই চেনেন তার কথা উল্লেখ করেছেন। কুনাল বলেছেন “আমাদের দল এবং ব্যাক্তিদের সম্পর্কে কুৎসা করলেও দেব মিঠুনের সঙ্গে সিনেমাতে অভিনয় করে। তার সঙ্গে ছবি দেয়।” কুনাল তির্যক মন্তব্যে যে দেব কেও ছাড়েননি তা বলাই বাহুল্য।

Advertisements

তবে সমোলোচকরা বলেছেন দেব হোক কিংবা মিঠুন অভিনয় তাদের পেশা। পেশা গত কারণে তারা একসাথে ছবি করতেই পারেন। তার তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজনীতির উর্ধে। প্রসঙ্গত দেব ও অনেকবার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রকাশ্যে। সবচেয়ে বড় কথা দেব এবং মিঠুনের পেশাগত সম্পর্কের মধ্যে যে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা বা গুঞ্জন নেই তাও দেব স্পষ্ট করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

Hero Glamour 125 এবার প্রিমিয়াম বাইকের ফিচার পাচ্ছে, বছরের এই সময় লঞ্চের সম্ভাবনা

এতেও কুনাল থাকেননি তিনি বলেন “দেব মিষ্টি, আমি দুষ্টু তাই আমার নাম শুনেই জলঢোড়া তেলে বেগুনে জলে উঠেছেন।” সবমিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মঞ্চের ‘তু তু ম্যায় ম্যায় জমে উঠেছে’। তবে শেষ হাসি কে হাসবে মিঠুন না কুনাল তা বলবে ২০২৬ এর বিধানসভা নিবাচনে মানুষের রায়।