নয়া দিল্লি: যাত্রী পরিষেবার উন্নয়নে আরও এক ধাপ এগোল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। শুধু নতুন ট্রেন চালু নয়, রেল ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও যাত্রীদের জন্য সেবা উন্নত করতেই ধারাবাহিক ভাবে নিয়ম-কানুনে পরিবর্তন আনছে রেল কর্তৃপক্ষ। তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে আধার বাধ্যতামূলক করার পর এবার আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংসদদের জন্য পৃথকভাবে তৈরি করা হচ্ছে একটি অনলাইন টিকিট বুকিং পোর্টাল।
এই নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, দেশের লোকসভা ও রাজ্যসভার বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদরা শুধুমাত্র এই পোর্টালের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে এবং বাতিল করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ২৩ জুলাই, বুধবার লোকসভায় একটি লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সংসদের সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে তাঁরা নিজে বা পরিবারের সদস্যদের টিকিট অনলাইনে বুক বা ক্যানসেল করতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র সাংসদদের জন্য সংরক্ষিত একটি পোর্টাল হবে।”
কারা ব্যবহার করতে পারবেন এই পোর্টাল?
এই অনলাইন পোর্টালটি সাধারণ নাগরিকদের জন্য নয়। শুধুমাত্র বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ এবং তাঁদের নির্ধারিত পরিবারের সদস্যরা এই পোর্টাল ব্যবহার করে সুবিধা পাবেন। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী, একজন সাংসদ ফার্স্ট ক্লাস এসি বা এগজেকিউটিভ ক্লাসে যাতায়াত করার সুবিধা পান। তাঁর স্ত্রী বা স্বামীও এই সুবিধা পান। এছাড়াও, সাংসদের সঙ্গে থাকা একজন সহযাত্রী এসি টু টায়ার শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পারেন।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ অধিবেশন চলাকালীন নয়, বছরের যে কোনও সময় সাংসদের স্বামী বা স্ত্রী দিল্লি-সহ দেশের যেকোনও রুটে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন ফার্স্ট ক্লাস এসি বা এগজেকিউটিভ শ্রেণিতে। এবার সেই প্রক্রিয়াটি আরও ডিজিটাল ও সহজতর করার জন্যই এই বিশেষ অনলাইন পোর্টাল চালু করতে চলেছে রেল মন্ত্রক।
আরও কী কী পরিবর্তন এনেছে রেল?
সম্প্রতি ভারতীয় রেল একাধিক নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল —
তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে আধার নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
চার্ট প্রকাশের সময় আরও এগিয়ে আনা হয়েছে।
অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে যাত্রীদের অভিযোগ জানানো আরও সহজ হয়েছে।
এই উদ্যোগগুলির মূল লক্ষ্য হল ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লক্ষ্যে পৌঁছনো এবং যাত্রী সেবার মান উন্নত করা।
সাংসদদের জন্য তৈরি এই বিশেষ টিকিট বুকিং পোর্টাল নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সময় বাঁচবে, প্রক্রিয়া হবে আরও স্বচ্ছ ও ডিজিটাল। ভারতীয় রেলের এই পদক্ষেপে যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ছে, তেমনি রেল যাত্রী পরিষেবায় আধুনিকতার ছোঁয়াও মিলছে স্পষ্ট ভাবে।