খালি হাতেই আগের সিজন শেষ করেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল (East Bengal FC)। একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের দলের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। তবে কোচ বদলের পর ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি দেখা দিলেও সেটা বজায় থাকেনি। চোট আঘাতের পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার জর্জরিত ছিল ময়দানের এই প্রধান। সেই সবদিক মাথায় রেখেই নতুন মরসুমের জন্য বহু আগে থেকেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে দেশীয় ব্রিগেডের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনে ও ছিল বাড়তি নজর।
সময় এগোনোর সাথে সাথেই সেক্ষেত্রে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের নাম। যাদের মধ্যে ছিলেন প্যালেস্টাইনের তারকা ফুটবলার মহম্মদ রশিদ থেকে শুরু করে মিগুয়েল ফিগুয়েরা সহ কেভিন সিবিলের মতো ফুটবলাররা। তারপর যতই সময় গিয়েছে এই তিন তারকা ফুটবলারের যোগদানের সম্ভবনা প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের শহরে আশার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসেছিল সমর্থকরা। গত সপ্তাহেই সেইমতো শহরে এসে গিয়েছেন দলের নতুন তিন তারকা বিদেশি। মিগুয়েল ফিগুয়েরা, রশিদ এবং কেভিন।
সেইসাথে গত সিজনে দলের হয়ে খেলা দুই তারকা ফুটবলার তথা দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস এবং সাউল ক্রেসপোকে ও রাখা হয়েছে দলের সঙ্গে। গত মরসুমে এই দুই বিদেশি ফুটবলারের একেবারে তথৈবচ পারফরম্যান্স থাকলেও এবার নিজেদের ফর্ম ফেরানোই অন্যতম লক্ষ্য। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সকলে। ইতিমধ্যেই দলের পাঁচ বিদেশি ফুটবলার চূড়ান্ত হয়ে গেলেও স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যে কে হবেন দলের ষষ্ঠ বিদেশি? গত কয়েকদিন ধরেই সেই নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। এসবের মাঝেই এবার উঠে আসলো নয়া তথ্য।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন আগেই মরোক্কোর প্রথম টায়ারের ক্লাব তথা কেএসিএম মারাকেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন জাদ আসোয়াব (Jad Assouab)। বলাবাহুল্য, বহু আগে থেকেই বছর তিরিশের এই সেন্টার ব্যাকের দিকে নজর ছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের। তবে সাউল ক্রেসপোর দলে থেকে যাওয়া বদলে দেয় পরিকল্পনা। এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে আর খুব একটা এগোয়নি ম্যানেজমেন্ট। যারফলে গত ৯ ই জুলাই নিজের দেশের ক্লাবেই যোগদান করেন তিনি।