নয়াদিল্লি: সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরুতেই সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের সামরিক সাফল্য ও কূটনৈতিক অবস্থানকে সামনে রেখে তিনি বললেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর দেশ যেভাবে ঐক্য দেখিয়েছে, সংসদেও সেই ঐক্য প্রত্যাশিত।”
২২ এপ্রিলের পাহালগাম হামলার বদলা নিতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনার পাল্টা হানার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, “ভারতীয় সেনা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, তা শতভাগ সফল হয়েছে। জঙ্গিদের যাঁরা মদত দিত, তাঁদের বাড়ি ২২ মিনিটে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
পাকিস্তানকে একহাত
এই অভিযানের পাশাপাশি তিনি বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের ‘নক্কাল’ উন্মোচনে ভারতের সাংসদদের ভূমিকাকেও প্রশংসা করেন। তাঁর কথায়, “সাংসদদের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে। গোটা বিশ্ব ভারতের শক্তি ও সুরক্ষা নীতির দৃঢ়তা দেখেছে।”
তবুও বিরোধীদের নিশানা Monsoon Session PM Modi
যদিও মোদীর মন্তব্যের মধ্যেই বিরোধী শিবিরের সুর আরও চড়ছে। পহেলগাঁও হামলা ঘিরে সরকারের ভূমিকা, নিরাপত্তার গাফিলতি, এবং বিহার ভোটার তালিকা সংশোধন—এই সমস্ত ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরার প্রস্তুতি নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা। রাজ্যসভায় রেণুকা চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে আলোচনার নোটিস দিয়েছেন।
সম্মুখসমরে বাদল অধিবেশন
আজ থেকেই শুরু বাদল অধিবেশন। একাধিক বিতর্কিত ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে দুই কক্ষ। প্রধানমন্ত্রী যেখানে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন, সেখানে বিরোধীরা নিরাপত্তা ও বিদেশ নীতির ত্রুটি তুলে আক্রমণ শানাতে প্রস্তুত।
রাজনৈতিক মহলের মতে, একদিকে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য, অন্যদিকে পহেলগাঁও-এ নিহত পর্যটকদের নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন, এই দ্বৈত চিত্রই শাসক-বিরোধী সংঘাতের মেরুকরণ তৈরি করতে চলেছে এই অধিবেশনে।