ডুরান্ড কাপের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal FC)। এক্ষেত্রে বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন শুরু করেছিলেন দলের অধিকাংশ ভারতীয় ফুটবলাররা। সময় এগোনোর সাথে সাথেই দলের সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছিলেন বাকিরা। তারপর সময় এগোনোর সাথে সাথেই শহরে পা রাখতে শুরু করেন দলের বিদেশি ফুটবলাররা। দিন কয়েক আগেই শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্যালেস্টাইনের নয়া তারকা ফুটবলার মহম্মদ রশিদ এবং গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস।
গভীর রাতে শহরে পা রাখার পর তাঁদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের।তারপর শনিবার কলকাতায় পা রাখেন দলের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল। সেইসাথে শহরে চলে আসেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজন। শেষ মরসুমটা খুব একটা ভালো না গেলেও এবার সেই সমস্ত হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে ট্রফি জেতানোই অন্যতম লক্ষ্য এই স্প্যানিশ কোচের। সেইমতো তাঁর পছন্দ অনুযায়ী এবার স্কোয়াড সাজিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। যেখানে এবার স্থান পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান থেকে শুরু করে আর্জেন্টাইন, স্প্যানিশ, গ্ৰীক সহ ফিলিস্তিনি ফুটবলাররা।
বলতে গেলে এবার এক বৈচিত্রপূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে এবার সাফল্য পেতে মরিয়া লাল-হলুদ শিবির। শনিবার দলের অনুশীলনে ছুটি থাকায় রবিবার থেকেই অস্কার ব্রুজনের তত্ত্বাবধানে পুরো দমে অনুশীলন শুরু করে দেয় মশাল ব্রিগেড। সেখানে দলের অধিকাংশ ফুটবলাররা চুটিয়ে অনুশীলন করলেও কোচের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সতীর্থদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়েই দলের অনুশীলনে নজর রাখতে দেখা যায় মিগুয়েল ফিগুয়েরা থেকে শুরু করে কেভিন সিবিল এবং সাউল ক্রেসপোকে। আসলে গত শনিবার গভীর রাতে শহরে এসেছিলেন কেভিন।
তারপর রবিবার শহরে আসেন মিগুয়েল ফিগুয়েরা এবং গতবারের অধিনায়ক তথা মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো। এই তিন ফুটবলারের দীর্ঘ বিমান যাত্রার কথা মাথায় রেখেই এদিন তাঁদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেজন্য, অনুশীলনে এলেও বল পায় মাঠে নামতে দেখা যায়নি এই তিন বিদেশি ফুটবলারকে। অল্প সময়ের মধ্যেই টিম হোটেলে ফিরে গিয়েছিলেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে আগামী কাল থেকেই হয়তো দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এই তিন তারকা।