বাংলার মেধাবী ছাত্ররা চাকরি করতে আকছার বেঙ্গালুরু যান (Birbhum)। বেঙ্গালুরু ভারতবর্ষের প্রযুক্তি শহর হিসেবে পরিচিত। নামিদামি দেশি এবং বিদেশী আইটি সংস্থা আছে এই বেঙ্গালুরুতে। বিহারের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বার্তা দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর মত উন্নয়ন বীরভূমেও সম্ভব। ২০২৬ এ বিজেপি বাংলায় এলে তিনি এই উন্নয়ন করে দেখবেন বলে বার্তা দিয়েছেন।
মোদী বলেন একসময় বাংলা সংস্কৃতি এবং কর্ম সংস্থানের প্রাণ কেন্দ্র ছিল। কিন্তু আজ সময় বদলে গেছে। তৃণমূলের দুর্নীতিকে বাংলার দুরবস্থার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে মোদী বলেন বাংলার মানুষের উচিত তৃণমূলকে বিসর্জন দিয়ে বিজেপিকে নিয়ে আসা। বিজেপি বাংলায় এলেই বাংলা আবার বিকশিত হবে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ ট্রেন্ড চলছে সারা দেশ জুড়ে বাংলার মানুষের রায় বিজেপিকে বাংলায় নিয়ে এলে এই বিকাশ আরও ত্বরান্বিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী জনসভা থেকে বার্তা দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর মতো প্রযুক্তি শহর হতে পারে বীরভূম ও। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বীরভূমে আইটি হাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে এই জেলাকে প্রযুক্তির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
এই পরিকল্পনার ফলে স্থানীয় যুবকদের আর চাকরির জন্য বেঙ্গালুরু বা অন্য শহরে পাড়ি দিতে হবে না। দেশের উদীয়মান ভবিষ্যৎ রা এই দেশের জন্য কাজ করতে পারবেন এবং তাদের আর ভিন রাজ্যে গিয়ে নিজের পরিবার ছেড়ে থাকতে হবে না।
তিনি বাংলার মানুষের কাছে প্রাথনা জানিয়ে বলেন বিজেপিকে সুযোগ দেওয়া হোক মানুষের সেবা করার জন্য। তৃণমূলের শাসনকালে বাংলার যে দুরবস্থা হয়েছে তা পরিবর্তন করবার জন্য একমাত্র বিজেপি সরকারের ই প্রয়োজন। তিনি বলেন ত্রিপুরা, অসম এবং ওড়িশায় বিজেপি সরকার ব্যাপক উন্নয়ন শুরু করেছে। বাংলার মানুষ যদি বিজেপির পক্ষে রায় দেন তবে এই বাংলাতেও হবে সবচেয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব।
কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে হবে শিক্ষার উন্নয়ন। তিনি বার্তা দিয়েছেন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বীরভূম থেকে সমগ্র বাংলা কেবল প্রযুক্তির ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং পরিকাঠামোর দিক থেকেও একটি আদর্শ রাজ্যে পরিণত হবে।
‘মাঠে নামছি, তৈরি থাকুন’, মোদীর সভা থেকে রাজনীতির ময়দানে ফেরার বার্তা মিঠুনের
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাংলার উন্নয়নে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কোহলির একাংশ। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে কিনা তা ঠিক করবেন বাংলার সদাহারণ মানুষ।