গোলাপী হয়ে যাবে জলপাইগুড়ি! বড় পরিকল্পনা নরেন্দ্র মোদীর

এতদিন গোলাপি শহর বলতে একটাই নাম চোখে ভেসে উঠত তা হল জয়পুর (Jalpaiguri)। এবার জলপাইগুড়িকে গোলাপি শহর করার পরিকল্পনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের জনসভায়…

Jalpaiguri will be the pink city

এতদিন গোলাপি শহর বলতে একটাই নাম চোখে ভেসে উঠত তা হল জয়পুর (Jalpaiguri)। এবার জলপাইগুড়িকে গোলাপি শহর করার পরিকল্পনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে তিনি এই পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।

মোদী বিহারের জনসভা থেকে বার্তা দিয়েছেন জয়পুরের মত উন্নয়ন জলপাইগুড়িতেও হবে। পর্যটনে যেমন জয়পুর ভারতবাসীর স্বর্গ তেমন জলপাইগুড়ির পর্যটনেও আসবে ব্যাপক উন্নয়ন যা দেখে শুধু ভারত নয় চোখে ধাঁধা লাগবে বিদেশি পর্যটকদেরও।

   

প্রধানমন্ত্রী মোদী বিহারের জনসভায় বলেন, “জয়পুর যেমন তার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং পরিকাঠামোগত উৎকর্ষের জন্য পর্যটনের ক্ষেত্রে ভারতের একটি স্বর্গ হিসেবে পরিচিত, তেমনই জলপাইগুড়িকেও আমরা একটি আধুনিক ও পর্যটনবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলব।”

তিনি আরও জানান, জলপাইগুড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা বাগান এবং উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে এর কৌশলগত অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে শহরটিকে পর্যটনের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।

মোদী বলেন “এই পরিকল্পনার মাধ্যমে জলপাইগুড়ি কেবল উত্তরবঙ্গের নয়, সমগ্র ভারতের গর্ব হয়ে উঠবে।জলপাইগুড়ি ইতিমধ্যেই তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা বাগান, গঙ্গা নদীর উপনদী তিস্তা এবং দার্জিলিং ও সিকিমের সঙ্গে সংযোগের জন্য পরিচিত।” জলপাইগুড়ির পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়ন ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে সমগ্র বিশ্বে আরও উপরে স্থান দেবে বলে ও তিনি জানান।

Advertisements

জলপাইগুড়ির পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত সড়ক যোগাযোগ, হোটেল ও রিসর্টের উন্নতি এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়াও, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শহরটির সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা হবে।প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করবে এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মতে জলপাইগুড়ির পর্যটন উন্নয়ন কে পুঁজি করে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা স্থানীয় যুব সমাজের জন্য একটি বড় সুযোগ। তিনি বিহারের জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমলোকনা করে বলেছেন তৃণমূল বাংলার যুবক যুবতীদের জন্য কি করেছেন। বাংলার মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা অধিকাংশই চলে যাচ্ছে রাজ্যের বাইরে।

দুর্গাপুর থেকে বাংলায় সাত প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি আরও বলেন পশ্চিমবঙ্গে কর্ম সংস্থান কোথায়। জলপাইগুড়িতে পর্যটন হলে সেখানে বহু মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। রাজ্যের বহু মানুষ এই উন্নয়নের ফল ভোগ করতে পারবেন বলেও মোদী উল্লেখ করেন। তবে জলপাইগুড়ি গোলাপি শহর হবে কিনা তা সময়ই বলবে আর বলবে আসন্ন ২০২৬ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের রায়।