ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটির একমাত্র রানওয়ে বন্ধই থাকছে। পরপর তৃতীয়বারের জন্য এই বিমানঘাঁটির রানওয়ে (Rahim Yar Khan Airbase) বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করল পাকিস্তান, যা কার্যত ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জেরে ঘাঁটিতে তীব্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রানওয়ে
পাকিস্তানের তরফে জারি করা সর্বশেষ NOTAM (Notice to Airmen)-এ জানানো হয়েছে, বিমানঘাঁটির রানওয়ে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনও ধরনের বিমান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে না। আগের দুই নোটিসেও এভাবেই ‘কার্য চলমান’ বলে উল্লেখ করা হলেও, বাস্তবত এই ঘাঁটির মূল অবকাঠামো এখনও পুরোপুরি অচল।
১০ মে, পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায়, যেখানে রহিম ইয়ার খান ছিল ১১টি নিশানার মধ্যে অন্যতম। ভারতের লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো।
রানওয়ের মাঝখানে একটি গভীর ও প্রশস্ত বিস্ফোরণচিহ্ন
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হাতে থাকা স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, রহিম ইয়ার খান ঘাঁটির রানওয়ের মাঝখানে একটি গভীর ও প্রশস্ত বিস্ফোরণচিহ্ন দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, ঘাঁটির একটি ভবনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই ঘাঁটি পাকিস্তানের একটি কৌশলগত এয়ারবেস হওয়ার পাশাপাশি, শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মে মাসের ওই ভারতীয় হামলার পর থেকে বিমানঘাঁটি কার্যত অচল।
মোদীর বক্তব্য
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সম্প্রতি রাজস্থানের বিকানেরে এক জনসভায় বলেন, “পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান এয়ারবেস এখনও ICU-তে ভর্তি, কবে ছাড়া পাবে কেউ জানে না।”
এই বক্তব্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যতটা তাৎপর্যপূর্ণ, কূটনৈতিক দিক থেকেও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বারবার রানওয়ে বন্ধ রাখার মাধ্যমে পাকিস্তান কার্যত মেনে নিচ্ছে যে, ভারতের হামলা শুধু প্রতিক্রিয়ামূলক ছিল না, কৌশলগত ভাবেও কার্যকর হয়েছে।
পাশাপাশি এই দীর্ঘমেয়াদি বিমানঘাঁটি অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশল, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি ও গোয়েন্দা সক্ষমতার প্রতিফলনও উঠে আসে আন্তর্জাতিক পরিসরে।