পিওকে-তে মাসুদ আজহার! গোয়েন্দা ইনপুটে ফের চাঞ্চল্য

নয়াদিল্লি: ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাসুদ আজহারকে নিয়ে বড় খবর সামনে এসেছে৷ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া নতুন তথ্য অনুযায়ী, জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের…

Masood Azhar Location

নয়াদিল্লি: ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাসুদ আজহারকে নিয়ে বড় খবর সামনে এসেছে৷ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া নতুন তথ্য অনুযায়ী, জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে (Masood Azhar Location)। এখান থেকে সে আবারও ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক ছক কষতে পারে বলে আশঙ্কা।

নতুন অবস্থান নিয়ে গোয়েন্দা মহলে উদ্বেগ

এই এলাকাটি মাসুদের পুরনো ঘাঁটি বাহাওয়ালপুর থেকে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার দূরে। দীর্ঘদিন ধরে বাহাওয়ালপুরে থেকেই সে জইশের কর্মকাণ্ড চালাত বলে মনে করা হত। কিন্তু এখন তার নতুন অবস্থান নিয়ে গোয়েন্দা মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।

   

এই নতুন ইনপুট এমন এক সময়ে সামনে এল, যখন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আন্তর্জাতিক মাধ্যমে (Al Jazeera) দাবি করেছিলেন, মাসুদ আজহার সম্ভবত আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে। এমনকি তিনি বলেন, “ভারতের তরফে প্রমাণ পাওয়া গেলে ইসলামাবাদ তাকে হস্তান্তর করতেও প্রস্তুত।”

আজহার এখনও পাকিস্তানেই

কিন্তু, বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, আজহার এখনও পাকিস্তানেই রয়েছে এবং সে এখন পাক সেনা ও আইএসআই-এর প্রত্যক্ষ নজরদারিতে আরও সুরক্ষিত অঞ্চলে আশ্রয় পেয়েছে।

গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন, জইশের মিডিয়া শাখা পুরনো অডিও ক্লিপ ও ভাষণ প্রচার করে ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে-যাতে মনে হয় মাসুদ এখনও বাহাওয়ালপুরেই আছে।

Advertisements

২০১৬ সালের পাঠানকোট এয়ারবেস হামলা

উল্লেখ্য, মাসুদ আজহার ২০১৬ সালের পাঠানকোট এয়ারবেস হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা আত্মঘাতী হামলার মূল চক্রী। পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। সেই ঘটনার পর থেকেই মাসুদ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তালিকায় রয়েছে এবং জাতিসংঘ সহ একাধিক দেশের নজরে।

ভারতের কূটনৈতিক মহলের মতে, এই ইনপুট আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলবে। ভারতের তরফে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে এই বিষয়টি আরও জোরালোভাবে তোলা হতে পারে।

সতর্কতা বাড়াচ্ছে ভারত

গিলগিট-বালতিস্তানের মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাসুদের উপস্থিতি ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যও চিন্তার কারণ। ইতিমধ্যেই সীমান্ত অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে সক্রিয় অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।