সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার বুকে যে ঘটনাগুলি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে, তার মধ্যে একটি হল সাম্প্রদায়িক হিংসা (Uttar Pradesh Police)। সম্প্রতি উল্টোরথ এবং মহরম ঘিরে বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন হিংসার ঘটনা ঘটে গেছে বঙ্গে। ডোমজুড়ে রথ ভাঙা থেকে শুরু করে, নৈহাটী শিয়ালদহের মত জায়গায় খোলা তলোয়ার নিয়ে দাপাদাপির ঘটনাও সামনে এসেছে।
এর চেয়েও আরও ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা সামনে এসেছে ব্যারাকপুরে। দুজন ধর্মান্তরিত হিন্দু যুবক শেখর রায় ওরফে হাসান আলি এবং ঋক বণিক ওরফে মহম্মদ ইব্রাহিম এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বহুদিন ধরেই হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তকরণ করে তাদের পাচার করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, কয়েকজন মহিলাকে ধর্মান্তরিত করে দেহ ব্যাবসায়ে বাধ্য করতেন এই দুজন।
এদের দুজনেরই বাড়ি ব্যারাকপুরের মনিরামপুর এলাকায়। এই দুই ধর্মান্তরিত হিন্দু ধরাও পড়েন ব্যারাকপুর থেকে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং স্থানীয় পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হন এই দুই যুবক। পরে অভিযুক্তদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত থেকে ট্রানসিট রিমান্ডে নিয়ে যায় উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে গাজী বাবা নামে এক ব্যাক্তি হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে নারী পাচারের ব্যবসা করতে গিয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এই দুই অভিযুক্ত সেই ধৃত গাজী বাবারই শাগরেদ বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই দুই অভিযুক্তকে আগ্রা আদালতে পেশ করা হবে।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে এই ধরণের চক্র ভারত বর্ষে কত আছে তা খুঁজে বের করবার দায়িত্ব প্রশাসনের। তবে এই গাজী বাবার মত অভিযুক্তেরা বেশিরভাগ সময়েই হিন্দু যুবকদের মগজ ধোলাই করে এবং তাদের দিয়ে এই ধরণের ঘৃণ্য কাজ করায়। আরেকদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই ধরণের ঘটনা ভারতবর্ষের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর আগেও দেশের বিভিন্ন শহরে এই ধরণের ধর্মান্তকরণের ঘটনা সামনে এসেছে।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য অনুযায়ী মধ্য় প্রাচ্য থেকে কোটি কোটি টাকা আসছে এই গাজী বাবার মত লোকেদের হাতে, হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার জন্য। সেই ধর্মান্তরিত মহিলাদের পাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশে।
1.2 কোটির বেশি আধার নিষ্ক্রিয় করল UIDAI, কেন এমন পদক্ষেপ!
এমনকি জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহলের মতে এই মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দেওয়া হয় অথবা ক্রীতদাস করে রাখা হয় এবং ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের ও এই এক ই ভাবে মগজ ধোলাই করে বিভিন্ন অপরাধমূলক এবং নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করা হয় যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।