জমির বদলে চাকরি মামলা: সুপ্রিম স্বস্তি পেলেন না লালু, বিচার প্রক্রিয়া চলবেই

নয়াদিল্লি: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে কোনও স্বস্তি মিলল না রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র প্রধান ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে…

Land for jobs case no relief for Lalu 

নয়াদিল্লি: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে কোনও স্বস্তি মিলল না রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র প্রধান ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হবে না। তবে তাঁর বয়স ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে লালুকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজিরা না দেওয়ার ছাড় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

৭৭ বছর বয়সি লালু এই মামলায় দিল্লি হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিং-এর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “এই ছোটখাট বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই। মূল মামলা হাই কোর্টে বিচারাধীন, সেটির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।”

   

কী এই জমির বিনিময়ে চাকরি কাণ্ড? Land for jobs case no relief for Lalu 

অভিযোগ, লালু প্রসাদ যাদব কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-২০০৯), রেলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে জমি আদায় করা হয়। জমিগুলি উপহার বা নামমাত্র দামে তুলে দেওয়া হয়েছিল লালুর পরিবার বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে। সেই সূত্রে সিবিআই মামলা রুজু করে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ

লালুর আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করে জানান, এই মামলায় দুর্নীতি দমন আইনের ১৭(এ) ধারা অনুযায়ী কোনও পূর্ব অনুমতি না নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই, যা আইনসিদ্ধ নয়। পাল্টা সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ঘটনাগুলি ঘটেছে ২০১৮ সালের সংশোধনী আইনের আগেই। ফলে অনুমতির প্রয়োজন ছিল না।

সুপ্রিম কোর্ট এই পর্যায়ে মূল মামলার গঠনগত যুক্তি বা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। আদালত শুধু জানিয়েছে, লালুকে নিয়মিত আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে না।

Advertisements

পরবর্তী পদক্ষেপ?

লালুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই মুহূর্তে মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনও বাধা দিচ্ছে না তারা। তবে তাঁর ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সার্বিকভাবে, ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ কেলেঙ্কারির জট এখনই কাটছে না, বরং লালুর আইনি লড়াই আরও দীর্ঘ হতে চলেছে।