নয়াদিল্লি: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়া-র মামলাকে “স্পর্শকাতর” বলে উল্লেখ করল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওই মামলায় তারা নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে এবং প্রিয়ার পরিবারকে সমস্তরকম আইনি সহায়তা প্রদান করছে (India on Nimisha Priya case)।
অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়
বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, “এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। ভারত সরকার প্রিয়ার পরিবারকে আইনগত সহায়তা দিয়েছে। তাঁর জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে এবং নিয়মিত কনসুলার ভিজিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ১৬ জুলাইয়ের নির্ধারিত মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত করেছে ইয়েমেন প্রশাসন। তাঁর কথায়, “গত কয়েক দিনে আমরা সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করেছি যাতে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছনোর জন্য প্রিয়ার পরিবার কিছুটা সময় পায়। এই প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আপাতত স্থগিত করেছে।”
জয়সওয়াল বলেন, ভারত সরকার একাধিক ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশের সঙ্গেও এই বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে, যাতে সমাধানে পৌঁছনো সম্ভব হয়।
প্রেক্ষাপট
২০১৭ সালে ইয়েমেনে এক স্থানীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন নিমিষা প্রিয়া, যিনি কেরালার বাসিন্দা ও পেশায় নার্স। সেই সময় তিনি ইয়েমেনে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও কেরলে তাঁর পরিবার বারবার হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে আসছে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত পরিবার ভুক্তভোগী পক্ষের সঙ্গে রফাসূত্রে পৌঁছতে পারেনি, তবে আলোচনা চলছে। ভারতীয় দূতাবাস ও কনসুলেট দফায় দফায় ইয়েমেন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এই মুহূর্তে মৃত্যুদণ্ড রোখা গেলেও বিষয়টি যে এখনও ঝুলে রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। Nimisha Priya-র ভাগ্য এখন অনেকটাই নির্ভর করছে পারস্পরিক সমঝোতার সাফল্যের উপর।