নয়াদিল্লি: ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়া-র মৃত্যুদণ্ড আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামীকাল (বুধবার) যেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করেছে ইয়েমেন প্রশাসন (Nimisha Priyas execution postponed)। ভারতের তরফে জোরদার কূটনৈতিক তৎপরতা ও আলোচনার ফলেই এই সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।
কেরলের পালক্কাড় জেলার বাসিন্দা ৩৬ বছরের নিমিশা প্রিয়া ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি জেলে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় নাগরিক তালাল আবদো মাহদি-কে খুন করেছেন। সেই অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
প্রাণভিক্ষার জন্য জারি আলোচনার চেষ্টা
ভারতের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরে নিমিশার প্রাণ রক্ষায় কূটনৈতিক ও মানবিক স্তরে একাধিক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিশেষত নিহত মাহদি-র পরিবারের সঙ্গে ‘ব্লাড মানি’ বা রক্তমূল্যের বিনিময়ে আপসে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে।
এই আলোচনায় সক্রিয় হয়েছেন ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি কান্থাপুরম এ পি আবুবকর মুসলিয়ার, যিনি একজন বিশিষ্ট সুন্নি ধর্মীয় নেতা। তিনি মাহদি-র পরিবারকে ব্লাড মানি গ্রহণ করে ক্ষমা করার আহ্বান জানাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত আলোচনা ফলপ্রসূ না হলেও প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হওয়ায় আলোচনার সময়সীমা কিছুটা বাড়ল।
ভারতের নিরলস চেষ্টা
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক আধিকারিকরা ইয়েমেনের জেল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। প্রিয়ার পরিবার ও আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
কী হয়েছিল?
২০১৭ সালে নিমিশা ইয়েমেনে একটি নার্সিং হোম চালাতেন। সেখানেই কাজ করতেন নিহত তালাল মাহদি। অভিযোগ, তাঁকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে হত্যা করা হয়। যদিও প্রিয়ার দাবি, তিনি আত্মরক্ষার্থে এমনটা করেছিলেন, কারণ মাহদি তাঁকে ও তাঁর পাসপোর্ট আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিপীড়ন করছিলেন।
সামনে কী?
- এখন ইয়েমেনের আইনের অধীনেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
- যদি নিহতের পরিবার ব্লাড মানি গ্রহণ করে, তাহলে মৃত্যুদণ্ড বাতিল হতে পারে।
- অন্যথায়, ভারতকে আরও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।