জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফের একবার চমক দেখালো (Gold Price) সোনার বাজার। একটানা মূল্যবৃদ্ধির ধারায় সোমবার, ১৪ জুলাই সপ্তাহের শুরুতেই খাঁটি সোনার দাম এক লক্ষ টাকার গণ্ডি অতিক্রম করেছে। এই মূল্যবৃদ্ধি শুধু খাঁটি সোনা অর্থাৎ ২৪ ক্যারাটেই নয়, ২২ ক্যারাট সোনার দামেও বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। শহরভিত্তিক হালনাগাদ দামের হিসাব অনুযায়ী, দেশের প্রায় প্রতিটি বড় শহরে সোনার দাম এই মুহূর্তে ঊর্ধ্বগামী(Gold Price)
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার চাহিদা এবং ডলারের দামের ওঠানামার প্রভাব সরাসরি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পড়ছে। পাশাপাশি, বিনিয়োগকারীরা এখন সোনার দিকেই ঝুঁকছেন নিরাপদ সম্পদ হিসেবে, যার ফলে সোনার দাম নিয়মিতভাবে বাড়ছে।(Gold Price)
কলকাতায় রেকর্ড ছুঁইছুঁই ২৪ ক্যারাট
রাজ্য তথা পূর্ব ভারতের সোনার কেন্দ্রবিন্দু কলকাতা।(Gold Price) এই শহরে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট খাঁটি সোনার দাম সোমবার পৌঁছেছে ৯৯,৮৮০ টাকায়। মাত্র ১২০ (Gold Price) টাকার ব্যবধানে এক লক্ষ টাকার গণ্ডি পার করার অপেক্ষায়। অন্যদিকে, ২২ ক্যারাট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৯১,৫৫০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম। যা বিগত সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
দিল্লিতে এক লক্ষ ছাড়িয়েছে খাঁটি সোনা
রাজধানী দিল্লির চিত্র আরও আকর্ষণীয়। এখানে সোমবার ১০(Gold Price) গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম এক লক্ষ ৩০ টাকা ছুঁয়েছে। অর্থাৎ খাঁটি সোনার দর ইতিমধ্যেই মনস্তাত্ত্বিক এক লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। ২২ ক্যারাটের দামও বেশ উঁচুতে—দাঁড়িয়েছে ৯১,৭০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম।
মুম্বইয়েও ঊর্ধ্বমুখী ধারা
পশ্চিম ভারতের অন্যতম সোনার বাজার মুম্বইয়েও দেখা যাচ্ছে এ(Gold Price) কই ধারা। এখানে ২৪ ক্যারাট সোনার দাম সোমবার উঠেছে ৯৯,৮৮০ টাকায়, ঠিক কলকাতার মতই। আর ২২ ক্যারাট সোনার দর দাঁড়িয়েছে ৯১,৫৫০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম।
কেন বাড়ছে সোনার দাম?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা, ডলারের দামের ওঠানামা, জিওপলিটিকাল টেনশন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সম্পর্কিত জল্পনার কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজার বা রিয়েল এস্টেটের বদলে সোনার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন। এই কারণে বিশ্ববাজারে সোনার চাহিদা বেড়ে গেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও।
তাছাড়া, ভারতীয়দের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সোনা এক ধরনের সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। বিয়ে, উৎসব ও শুভ কাজের জন্য সোনার চাহিদা নিরবচ্ছিন্ন থাকে। পুজোর মরশুম আসার আগেই অনেকেই সোনা কিনে রাখেন, ফলে চাহিদা বাড়তে থাকে জুলাই-অগস্ট থেকেই।