নয়াদিল্লি: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কেরলের নার্স নিমিষা প্রিয়াকে বাঁচাতে “সবরকম প্রচেষ্টা” করা হচ্ছে, তবে “বেশি কিছু করার নেই,” সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ১৬ জুলাই ইয়েমেনে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা। সেই প্রেক্ষিতে দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ‘Save Nimisha Priya International Action Council’ নামক একটি সংস্থা।
সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি বলেন, “সম্ভব সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু ইয়েমেনের ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই বললেই চলে।” মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত।
৩৮ বছর বয়সি নিমিষা কেরলের পালাক্কাড় জেলার বাসিন্দা। ২০১৭ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার তালাল আব্দো মাহদিকে হত্যার অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ, পাসপোর্ট ফিরে পেতে ওই ব্যক্তিকে ঘুমের ইনজেকশন দেন তিনি, যার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, তালাল দীর্ঘদিন ধরে নিমিষাকে নিপীড়ন ও নির্যাতন করছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা ইয়েমেনের আদালতে
২০২০ সালে নিমিষার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে ইয়েমেনের আদালত। ২০২৩ সালে তাঁর চূড়ান্ত আপিলও খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি সানার একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
নিমিষাকে বাঁচাতে ‘Save Nimisha Priya International Action Council’ নামের ভারতীয় সংগঠনটি আদালতে আবেদন জানিয়েছে, যাতে কেন্দ্রীয় সরকার কূটনৈতিক স্তরে হস্তক্ষেপ করে। আবেদনকারীর দাবি, শরিয়া আইনের অধীনে রক্তমূল্য (Blood Money) প্রদানের মাধ্যমে মৃতের পরিবার যদি ক্ষমা করে, তাহলে নিমিষার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। এই রাস্তাই এখন শেষ আশার আলো।
আদালতে সংগঠনের তরফে আইনজীবী সুভাষ চন্দ্রন বলেন, “রক্তমূল্য দেওয়ার সুযোগ আছে। পরিবার চাইলে ক্ষমা করতে পারে। তার জন্য দ্রুত কূটনৈতিক স্তরে পদক্ষেপ জরুরি।”
এখন দেখার, শুক্রবারের শুনানিতে আদালত এবং কেন্দ্র ঠিক কী অবস্থান নেয়, কারণ সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।