বাংলার বাইরে বাঙালিদের সুরক্ষা কমছে (Tathagata)। ওড়িশায় ৪৪৪ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী বলে আটক করা হয়েছে। যদিও তারা দাবি করেছে ভারতের সমস্ত বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ভাবে তাদের আটক করা হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের নিরাপত্তা নেই। তাদের মতে সবাই অনুপ্রবেশকারী। বিজেপি শাসিত রাজ্যে পর পর বাঙালি নিগ্রহ এবং সাম্প্রতিক কালে হিমন্ত বিশ্বশর্মার বাংলা বিরোধী মন্তব্য ঘিরে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক উস্কে দিয়ে আবারও সরব তথাগত (Tathagata)।
বিজেপির বাংলা বিরোধী মানুষিকতা এবং ভিন রাজ্যে বাঙালিদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদে আগামী ১৬ তারিখ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পথে নামবে তৃণমূল। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এই প্রতিবাদ মিছিল চলবে এবং যদি মিছিলের সামনের সারিতে পুরোনো ভঙ্গিতে দেখা যাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে।
এবার এই মিছিল নিয়েই মমতা কে কটাক্ষ করলেন তথাগত রায়(Tathagata)। ১৬ তারিখের মিছিল এবং ২১ জুলাইয়ের তৃণমূল শহীদ দিবস নিয়ে কার্যত বেলাগাম আক্রমণ করেছেন তিনি । এই মিছিলকে কেন্দ্র করে তথাগত রায়ের কটাক্ষ রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে স্পষ্ট লিখেছেন বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এই রাজ্যে কোনো স্থান নেই। এই অনুপ্রবেশকারীদের বাংলা থেকে তাড়াতেই। হবে তিনি তার পোস্টের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করেছেন মমতা সরকার শুধু মাত্র ভোটব্যাংক মজবুত করতে এই তোষণের রাজনীতি করে চলেছে।
চোরাপথে ভারতে ঢোকা বাংলাদেশী মুসলমান ঘুসপেটদের ভারত থেকে বিতাড়ন করতেই হবে। তাতে দু’দশটা ভুল হলে শুধরে নেওয়া হবে। তৃণমূল হাউ হাউ করে চেঁচাবে। তাদের পাত্তা দিয়ে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা যাবে না।
প্রতিবাদে নাকি মুলো নেত্রী সহ কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হবে। এমনিতেই…
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 14, 2025
তিনি (Tathagata)আরও স্পষ্ট করেছেন ভিন রাজ্যে যাদের আটক করা হচ্ছে তারা বাংলার বাঙালি মোটেও নন। তারা প্রত্যেকেই ভারতে বসবাসকারী অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তিনি আবারও সমাজ মাধ্যমে সরব হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতার এই মিছিল শুধু মাত্র অনুপ্রবেশকারীদের তুষ্ট করে ভোট লুট করার পন্থা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি আরও লিখেছেন, এই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন ‘মুলো নেত্রী’ মমতা বন্দোপাধ্যায়। বেলাগাম মুসলিম তোষণ এবং বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধ ভাবে রাজ্যে স্থান দেওয়ার কারণেই তথাগতের (Tathagata)এই কটাক্ষ।
তিনি আগামী ২১ এ জুলাইয়ের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠাকে কটাক্ষ করে বলেছেন এমনিতেই আর এক সপ্তাহ পরে ধর্মতলায় বঙ্গীয় বেকার বাহিনীর ডিমভাত উৎসব! এসব না করে, যে রাজ্য থেকে বাংলাদেশি মুসলমান খেদানো হচ্ছে, সেখানে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সরকার তৈরি করলেই তো হত! নাকি প্রতিটি কেন্দ্রে জামানত হারাবার ভয়?”
তথাগতের এই মন্তব্যে তৃণমূলের তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতারা এই মন্তব্যকে ‘বাঙালি-বিরোধী’ এবং ‘বিদ্বেষমূলক’ (Tathagata)বলে অভিহিত করেছেন।এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা বাংলার রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সূচনা করতে পারে।
তৃণমূলের দাবি, বিজেপির এই নীতি বাঙালি পরিচয়ের উপর আঘাত। তৃণমূল অনেক আগে থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরু করণের রাজনীতির অভিযোগ এনেছিল। তথাগতের এই পোস্ট আবার নতুন করে সেই বিতর্ক উস্কে দিল, যা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল।
রাজনৈতিক (Tathagata) মহলের একাংশের মতে বিজেপি শাসিত রাজ্যেই কেন বাঙালিদের নিগ্রহ করা হচ্ছে বা অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার বিজেপির মতে যাদের আটক করা হয়েছে,তারা যে ভারতের অবৈধ বাসিন্দা সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
দিলীপ ঘোষের প্রত্যাবর্তন? মোদির দুর্গাপুর সভায় আমন্ত্রণে জল্পনায় ইতি
তৃণমূল আবার ফিরতি অভিযোগ করেছে যে যদি অনুপ্রবেশ হয় তবে কেন্দ্রের বিএসএফ কি করছে তারা কেন অনুপ্রবেশকারীদের আটকাচ্ছেনা। অভিযোগ প্রতি অভিযোগের একটি মূল মন্ত্র তা হল আগামি বিধানসভা নির্বাচন। এই ইস্যুর কতটা প্রভাব নির্বাচনে পড়বে এবং কে শেষ হাসি হাসবে তা সময় ই বলবে।