আয়ুর্বেদ, ভারতবর্ষের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি (Metro Station)। যখন চিকিৎসার আর কোনো বিকল্প ছিলনা, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে আয়ুর্বেদ ই ছিল মানুষের আশা ভরসা। প্রাচীন কালের চরক, সুশ্রুত এরাও এই আয়ুর্বেদ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৎকালীন সময়ে রোগের উপশম ঘটিয়েছেন। আয়ুর্বেদ ডাক্তার হিসেবে তারা ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। আবার তারাশঙ্করের ‘আরোগ্য নিকেতনে’ আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হার মেনেছিল আয়ুর্বেদের কাছে।
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তিনটি মেট্রো স্টেশনে।সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যত হাসি ফুটিয়েছে রাজ্যের কয়েক হাজার আয়ুর্বেদ ডাক্তারদের মুখে। আর এই প্রচেষ্টার কারিগর ছিলেন ডাক্তার সুমিত সুর(Metro Station)। যিনি বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মানুষের রোগের উপচার করছেন। সুমিত সুর একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন মেট্রো স্টেশনের বোর্ড গুলিতে সাধারণত দর্শনীয় স্থান গুলির তালিকা থাকে।
কিন্তু আয়ুর্বেদ কলেজ এবং হাসপাতাল গুলির কোনো নাম থাকেনা। মেট্রো স্টেশনের (Metro Station)বোর্ডে যদি এই আয়ুর্বেদ কলেজ এবং হাসপাতালগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তবে আয়ুর্বেদ আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে।
জনপ্রিয় তিনটি মেট্রো স্টেশনের মধ্যে প্রথমেই আছে শ্যামবাজার। যে স্টেশনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ১৯ এ ফেব্রুয়ারী। এই স্টেশনে যোগ হয়েছে জেবি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের নাম।
মহাত্মা গান্ধী রোড স্টেশনের (Metro Station)বোর্ডে অন্তর্ভুক্তি পেয়েছে ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন এবং রিসার্চ নামে এই বিখ্যাত কলেজ এবং হাসপাতালটি। আরও একটি জনপ্রিয় মেট্রো স্টেশন শোভাবাজার সুতানুটি, যে স্টেশন টি কার্যকর হয় ১৫ ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯৫ সালে। এই স্টেশনে যাত্রীরা দেখতে পাবেন বিশ্বনাথ আয়ুর্বেদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নাম।
কলকাতা মেট্রো এবং ডাক্তার সুমিত সুরের এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে মানুষকে সাহায্য করবে এই হাসপাতালগুলি খুঁজে বের করতে এবং দেশের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতির শরণাপন্ন হতে (Metro Station)। সুমিত সুর আরও বলেন প্রাথমিক ভাবে মেট্রো রেলওয়ে বোর্ড কাগজে টাইপ করে এই নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা জলে, ধুলোয় ম্লান হয়ে যেতে থাকে। ডাক্তার সুমিত সুরের বিস্তর চিঠি চাপাটির ফলে মেট্রো রেলওয়ে এবার পলিভিনাইল পোস্টারের মাধ্যমে হাসপাতাল গুলিকে স্থায়ী ভাবে জায়গা দিয়েছে এই তিন স্টেশনের বোর্ডে।
প্রথমত রাজ্যসরকারের এই সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তীকালে সুমিত সুর এবং মেট্রো রেলওয়ের হস্তক্ষেপ এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে বাংলার চিকৎিসা শাস্ত্রে। এই প্রচেষ্টা স্বভাবতই সাধারণ মানুষকে আবার নিয়ে আসবে প্রকৃতির কাছাকাছি।
মানুষকে বাঁচাবে বিভিন্ন ওষুধের পার্শ প্রতিক্রিয়া থেকে। সবচেয়ে বড় কথা মেট্রো স্টেশনের (Metro Station)বোর্ডে এই আয়ুর্বেদিক কলেজ এবং হাসপাতালের অন্তর্ভুক্তি মানুষকে সাহায্য করবে এত বড় মহানগরীতে হাসপাতালগুলি খুঁজে বের করে প্রাকৃতিক ও ভেষজ চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করতে ।