বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের জামকুড়ি, বরুজপোতা, কান্তোর,(Nuts Farming) নান্দুর, আখড়াশাল সহ বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা আলু ও বোরো ধানের চেয়ে লাভজনক বিকল্প হিসেবে বাদাম চাষ(Nuts Farming) শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত আলু-ধান চাষে খরচ অনেক হওয়ায় এবং জল সংকটের কারণে অনেক কৃষক আর আগ্রহী ছিলেন না। তাই তারা এখন বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকেছেন যা অনেক কম খরচে ভালো আয়ের পথ দেখাচ্ছে।
বাদাম চাষের পদ্ধতি ও সময়কাল
কৃষিদপ্তর ও স্থানীয় চাষিরা জানান, সাধারণত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাদামের বীজ জমিতে ফেলা হয়। জমিতে বীজ ফেলার সাত দিনের মধ্যে বাদামের চারা উঠে আসে। চারাগুলো একটু বড় হয়ে গেলে(Nuts Farming) সেগুলোকে ভালোভাবে জল দেওয়া হয়। এরপর কুড়নি দিয়ে চারার আশপাশের মাটি কুড়ে নরম করে দেওয়া হয় যাতে গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়।
বাদামের চাষে খুব বেশি জল দিতে হয় না।(Nuts Farming) মাত্র তিন থেকে চারবার জল দেওয়া লাগে। আর এক বিঘা জমিতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ কেজি বাদামের বীজ লাগে। সারও কম লাগায়, বিঘা প্রতি মাত্র ১০ কেজি রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। এই ছোট পরিমাণ খরচের মধ্য দিয়েই চার মাসের মধ্যে ফলনের আশা করা যায়(Nuts Farming)
লাভের হিসেব
বাদাম চাষে বিঘা প্রতি প্রায় চার কুইন্টাল(Nuts Farming) বাদাম উৎপন্ন হয়। বর্তমানে বাজারে বাদামের মূল্য প্রতি কুইন্টাল প্রায় ৮,৭৫০ থেকে ১০,০০০ টাকা। অর্থাৎ এক বিঘা জমি থেকে বাদাম চাষ করে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার লাভ হওয়া সম্ভব। এটি অনেক বেশি লাভজনক, বিশেষ করে যেখানে আলু ও ধানের চাষে খরচ ও সময় অনেক বেশি।(Nuts Farming)
স্থানীয় চাষিদের মতামত
বরুজপোতা গ্রামের চাষি শেখ জাহাঙ্গীর বলেন, “বোরো ধান চাষ(Nuts Farming) করা অনেক খরচ সাপেক্ষ। প্রচুর পরিমাণ জল প্রয়োজন হয় এবং সাব মার্সিবল পাম্প থেকে জল তুলে আনার খরচও অনেক বেড়ে গেছে। তাই আমরা বাদাম চাষ শুরু করেছি, যা কম খরচে বেশি লাভ দিচ্ছে।”
অন্য চাষি ইফতারুল খান ও রহিম হাজারিও বাদাম চাষে সন্তুষ্ট। তারা বলেন, “বাদাম চাষে কাজ কম, খরচ কম এবং লাভ ভাল। আমাদের অঞ্চলে এটা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।”(Nuts Farming)
পঞ্চায়েত ও কৃষি আধিকারিকের আশাবাদ
পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত দত্ত জানান, “জামকুড়ি অঞ্চলের বেশ কিছু মৌজায় এবার বোরোর বিকল্প হিসেবে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে এই বাদাম চাষ পুরো ব্লক জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং আরও বেশি চাষি উৎসাহী হবেন।”
বিষ্ণুপুর মহকুমা কৃষি আধিকারিক সুব্রত(Nuts Farming) কর্মকার বলেন, “বাদামের দাম বর্তমানে উর্ধ্বমুখী। এটি চাষের জন্য একটি লাভজনক বিকল্প। আগামী দিনে বাদাম চাষ আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং চাষিরা এ থেকে ভালো আয় করতে পারবেন।”
পরিবেশ ও জল সংরক্ষণে সহায়ক
বাদাম চাষ আলু-ধানের তুলনায় কম জলের প্রয়োজন হয়, যা জল (Nuts Farming) সঙ্কট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জমি ও পরিবেশের উপর চাপ কমিয়ে এই চাষ কৃষকদের জন্য সহায়ক হচ্ছে। কম খরচে ভালো লাভের সুযোগ তৈরি হওয়ায় কৃষকরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।