‘মমতার ভোটব্যাংকের আক্রমণে খেজুরি হত্যা’, দাবি শুভেন্দুর

রাজ্য রাজনীতিতে চর্চায় মুসলিম তোষণের রাজনীতি(Khejuri)। ঠিক তেমন ই তোষণের বিরুদ্ধে বার বার আঙ্গুল তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কখনো শিক্ষা দুর্নীতি আবার…

Khejuri incident suvendu slams mamata

রাজ্য রাজনীতিতে চর্চায় মুসলিম তোষণের রাজনীতি(Khejuri)। ঠিক তেমন ই তোষণের বিরুদ্ধে বার বার আঙ্গুল তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কখনো শিক্ষা দুর্নীতি আবার কখনো কাশ্মীর প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বিস্ফোরক বার্তা উস্কে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতির বিতর্ক। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার অন্তর্গত ভাঙ্গনমারী গ্রামে দুই হিন্দু ব্যক্তির ‘নৃশংস হত্যা’র ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে আবার তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক নীতির কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে । তিনি দাবি করেছেন, গতকাল রাতে খেজুরির (Khejuri) জনকা এলাকায় মহরমের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সুজিত দাস এবং সুধীর চন্দ্র পাইক নামে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।

   

শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, এই হত্যায় বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা গরিরুল ইসলাম সহ শেখ আত্তাউর,শেখ সাহালাম, শেখ মইদুল, শেখ আরবিল্লা, জলার বেগ এবং শেখ আসমত জড়িত। তিনি আরও বলেছেন, এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তের উপর তাঁর সন্দেহ রয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংকের হাতে দুই হিন্দু নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন।” তিনি দাবি করেছেন, গরিরুল ইসলাম এলাকার একজন বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা, এবং তাঁর নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। শুভেন্দুর মতে, মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তের দাগ থাকায় এই মৃত্যু সন্দেহজনক।

তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, (Khejuri) অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পলাতক, এমনকি তাঁদের বাড়িও তালাবন্ধ। শুভেন্দু বলেন, “মনে হচ্ছে, হিন্দুদের হত্যার মিশন সম্পন্ন করে তারা পালিয়েছে।” তিনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উপর ভরসা না থাকার কথা উল্লেখ করে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

শুভেন্দুর পোস্ট অনুযায়ী, গতকাল রাতে সুজিত দাস এবং সুধীর চন্দ্র পাইক খেজুরির জনকা এলাকায় মহরমের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়, যার ফলে তাঁদের মৃত্যু হয়। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তের দাগ থাকায় এটি সাধারণ মৃত্যু নয় বলে দাবি করা হচ্ছে। শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৃণমূলের ভোটব্যাংক নীতি কাজ করছে, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে খুশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “এই হত্যা তৃণমূলের তোষণ নীতির ফলাফল।”রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াএই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিজেপি নেতারা (Khejuri) এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ।

এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলের তোষণ নীতির প্রমাণ।” তিনি আরও দাবি করেছেন, পুলিশ এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না, কারণ রাজ্য সরকারের চাপে তারা কাজ করে। তৃণমূল কংগ্রেস এখনও এই অভিযোগের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

শুভেন্দু অধিকারী (Khejuri)পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অভিযুক্তরা পলাতক, তাদের বাড়ি তালাবন্ধ। পুলিশ কি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবে? আমার সন্দেহ আছে।” তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারের তোষণ নীতির কারণে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করতে ব্যর্থ হবে।

Advertisements

এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে, তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, এবং তদন্ত চলছে।

রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার আশঙ্কাএই ঘটনা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার পর এই হত্যাকাণ্ড নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, তৃণমূলের তোষণ (Khejuri) নীতি সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে উসকে দিচ্ছে। শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূলের তোষণ নীতি হিন্দুদের উপর আক্রমণের পথ খুলে দিয়েছে।” তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

ট্রেনের এসি বা অন্য কোনও সমস্যা? হোয়াটস্যাপে অভিযোগ করলেই মিলবে সমাধান!

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে আরও তীব্র করবে। বিজেপি এই ঘটনাকে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

খেজুরির (Khejuri)ভাঙ্গনমারী গ্রামে দুই হিন্দুর হত্যার ঘটনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও তৃণমূলের তোষণ নীতি নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ এবং পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জোরালো হচ্ছে। আগামী দিনে এই ঘটনা কীভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।