শেষ সিজনে ভারতীয় কোচ থাংবোই সিংটোর তত্ত্বাবধানে সাফল্য পেতে তৎপর ছিল হায়দরাবাদ এফসি। সেজন্য তাঁর নির্দেশ মতোই দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের সই করিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দল গঠনের ফলে প্রাক মরসুম প্রস্তুতির খুব একটা সময় পায়নি হায়দরাবাদ। যার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সে। তবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল দলের ফুটবলারদের। কিন্তু বেশিদিন বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা।পরবর্তীতে একের পর এক শক্তিশালী দলের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল নিজামের শহরের দলকে।
গোটা সিজন জুরে দলের খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও একক দক্ষতায় সকলকে চমকে দিয়েছিলেন এডমিলসন কোরিয়া থেকে শুরু করে মনোজ মহম্মদ এবং সাই গডার্ডের (Cy Goddard) মতো ফুটবলাররা। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বছরের জন্য তাঁদের দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল একাধিক ফুটবল ক্লাব। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে শোনা যাচ্ছিল নয়া সিজনে অন্য এক আইএসএল জয়ীদের হয়ে হয়তো খেলতে দেখা যাবে ইংল্যান্ডের এই ফুটবলারকে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তাঁকে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বিদেশের একাধিক ফুটবল ক্লাব। তাই শেষ পর্যন্ত ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন গডার্ড।
সেই অনুযায়ী এবার হংকংয়ের প্রিমিয়ার লিগের ফুটবল ক্লাব লি ম্যানের সঙ্গে যুক্ত হলেন আঠাশ বছরের এই মিডফিল্ডার। ইতিমধ্যেই সেই দলের তরফে জানানো হয়েছে তাঁর যোগদানের কথা। হিসাব অনুযায়ী আগামী বছর পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে এই ফুটবল ক্লাবের চুক্তি থাকলেও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তা বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেই ফুটবল ক্লাব। শেষ আইএসএলে দলের হয়ে খেলেছিলেন প্রায় ২১টি ম্যাচ। যার মধ্যে একটি গোল এবং দুইটি অ্যাসিস্ট ছিল সেই বিদেশি ফুটবলারের।
এবার হংকংয়ের প্রথম ডিভিশন লিগের হয়ে নিজেকে মেলে ধরার চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে হায়দরাবাদ এফসির একাধিক ফুটবলারদের দিকে নজর রয়েছে টুর্নামেন্টের একাধিক ফুটবল ক্লাবের। মনে করা হচ্ছে নয়া সিজনে তাঁদের ঘর ভেঙে একাধিক ফুটবলারদের দলে টানতে পারে দেশের ক্লাব গুলি।