কিম করেছে যৌন নির্যাতন, মামলা দায়ের!

সাহস বটে। যে কিম জং উনের নির্দেশ ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় নাকি হাওয়া বয় না, গাছের পাতা নড়ে না। খোদ আমেরিকা ভয় পায়- তারই বিরুদ্ধে যৌন…

Kim Jong Un

সাহস বটে। যে কিম জং উনের নির্দেশ ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় নাকি হাওয়া বয় না, গাছের পাতা নড়ে না। খোদ আমেরিকা ভয় পায়- তারই বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা! তাও আবার উত্তর কোরীয় এক মহিলার অভিযোগ। বিশ্ব জুড়ে হইহহই।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং উনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নৃশংস অত্যাচারের কথা শোনা যায়। তার প্রতিশোধের হাড় হিম করা কাহিনি ছড়ায়। তার বিরুদ্ধে গেলেই যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু অনিবার্য। একাধিক আত্মীয়কে হিংস্র ক্ষুধার্ত কুকুরের মুখে ফেলে তাদের দিয়ে ছিঁড়ে খাইয়েছে কিম। সেই দৃশ্য নিজে দেখেছেন ও বাকি অফিসারদের দেখিয়েছে।

   

এমনই ভয়াল কিম জং উনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন উত্তর কোরীয় এক মহিলা। তবে তিনি দীর্ঘ সময় দেশ ছাড়া। আছেন দক্ষিন কোরিয়ায়।

বিবিসি জানি়য়েছে, চোই মিন-কিয়ুং নামের ওই মহিলা ১৯৯৭ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে চিনে পালিয়ে যান। ২০০৮ সালে তাকে জোরপূর্বক তার নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তাকে আটক করে উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষ। মহিলার অভিযোগ, আটক থাকাকালীন তাকে যৌন নির্যাতন ও মারধর করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ জুলাই) এই মামলা দায়ের করা হবে। এটা একটা ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কেউ তার নিজ দেশের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তবে উত্তর কোরিয়ার তরফে কিম জং উনের বিরুদ্ধে করা যাবতীয় অভিযোগ ষড়যন্ত্র বলে চিহ্নিত করা হয়।

Advertisements

সেন্টার ফর নর্থ কোরিয়ান হিউম্যান রাইটস (এনকেডিবি) বলেছে, চোইয়ের মামলা রাষ্ট্রসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। অভিযোগকারিনী চোই বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে চাই এই ছোট পদক্ষেপটি স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠুক, যাতে এই নৃশংস শাসনের অধীনে আর কোনও নিরপরাধ উত্তর কোরীয় না ভোগেন।

চোই ২০১২ সালে ফের নিজ দেশ উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। সেখানেই থাকেন। তিনি বলেন, আমি তিনি এখনও ওষুধের উপর নির্ভরশীল।তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থার নির্যাতনের শিকার এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য কিম পরিবার দায়ি।এতে আমার এক গভীর ও জরুরি দায়িত্ব রয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। তবে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের নেতৃত্বে চলা সরকার কোনও আন্তর্জাতিক আ়ইনের তোয়াক্কা করে না।