র্যাগিং একটি গভীর সামাজিক সমস্যা, যা বছরের পর বছর ধরে (UGC) দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে। এই র্যাগিং শুধু শারীরিক আঘাত নয়, বরং মানসিক অত্যাচারের আকারেও প্রকাশিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি ইউজিসি দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং রোধে একটি নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, যা র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এক কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।(UGC)
এই নির্দেশিকায় ইউজিসি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, কোনো শিক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বা অন্যান্য অফিশিয়াল নয় এমন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যদি জুনিয়রদের হেনস্থা করা হয়, তাহলে সেটি র্যাগিং(UGC) হিসেবে গণ্য হবে। অনেক সময় দেখা যায়, সিনিয়ররা তাদের অশ্লীল এবং অবমাননাকর আচরণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে জুনিয়রদের প্রতি প্রকাশ করে। এই ধরনের ঘটনাগুলিকে ইউজিসি র্যাগিং হিসেবে বিবেচনা করছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।(UGC)
ইউজিসি তার নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করেছে যে, ক্যাম্পাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা(UGC) প্রথম এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনোভাবেই এটি উপেক্ষা করা হবে না। প্রতিবছরই ইউজিসির কাছে র্যাগিংয়ের বহু অভিযোগ জমা পড়ে, যেখানে সিনিয়রদের দ্বারা জুনিয়রদের শারীরিক ও(UGC) মানসিক অত্যাচারের ঘটনা উঠে আসে। অভিযোগগুলিতে বলা হয়েছে, সিনিয়ররা তাদের ইচ্ছামতো জুনিয়রদের ওপর অত্যাচার চালায়, যেমন জোর করে চুল কাটানো, দীর্ঘসময় দাঁড় করিয়ে রাখা, মানসিকভাবে অত্যাচারিত করা, এবং এমনকি শারীরিকভাবে হেনস্থা করার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে।(UGC)
এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলা করতে ইউজিসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকতে এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে এসব অভিযোগের তদন্ত করে এবং দায়ী শিক্ষার্থীদের শাস্তির আওতায় আনে(UGC)
ইউজিসি জানায়, “অ্যান্টি-র্যাগিং আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে, কারণ এসব কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, বরং এটি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থাও নষ্ট করে। কোনো পরিস্থিতিতেই এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।”(UGC)
শিক্ষার্থী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউজিসি একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে র্যাগিং সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা অন্তর্ভুক্ত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, যাতে র্যাগিংয়ের মতো ঘটনা চিহ্নিত এবং প্রতিরোধ করা যায়।(UGC)
এছাড়া, ইউজিসি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে র্যাগিং সম্পর্কিত তথ্য সংকলন এবং অভিযোগের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে সহজেই অভিযোগ করতে পারে, সে জন্য একটি নির্দিষ্ট কমপ্লেইন্ট হেল্পলাইন চালু করা এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।(UGC)
শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ পরামর্শও দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা(UGC) র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারে এবং কোনো প্রকার শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার সয়ে না থাকে। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জানানো হয়েছে, যে কোনো র্যাগিং ঘটনার ক্ষেত্রে দ্রুত অভিযোগ জানাতে হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হবে।(UGC)
ইউজিসির এই নতুন পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের প্রতি কঠোর মনোভাব এবং র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের প্রতীক। যদিও র্যাগিং বন্ধ করা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, তবে এই ধরনের নির্দেশিকা এবং কড়া পদক্ষেপ নিতে ইউজিসি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোভাব প্রকাশ করেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ, সম্মানজনক এবং শিক্ষানুগ পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।(UGC)