যাত্রা শেষ জাভি আলোন্সোর ছেলেদের। এবার ক্লাব বিশ্বকাপ (FIFA Club World Cup) থেকে ছিটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। পূর্ব সূচি অনুযায়ী এদিন আমেরিকার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। জয়ের ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল স্পেনের এই ফুটবল ক্লাব। এদিন প্রতিপক্ষ দলের হয়ে জোড়া গোল করেন ফাবিয়ান রুইস। এছাড়াও গোল করেন উসমান ডেম্বেলে এবং গনসালো রামোস।
বলাবাহুল্য, এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিল প্রথমবারের ইউসিএল জয়ীরা। তাঁদের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছোটার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল আন্তোনিও রুডিগার থেকে শুরু করে রাউল আসেন্সিওদের। প্রথমার্ধের প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই দুইটি গোল হজম করতে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ছন্দ বজায় থাকলেও এদিন ছন্নছাড়া ফুটবল খেলার পাশাপাশি ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝির মাশুল ব্যাপকভাবে গুনতে হল স্পেনের এই দলকে।
ম্যাচের ঠিক ছয় মিনিটের মাথায় দলের ডিফেন্ডারের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের ফুটবলার। থিবো কুর্তোয়া কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি। দুরপাল্লার শটের মধ্যে দিয়ে ফিরতি বল গোলে ঢুকিয়ে দেন রুইস। যারফলে অনায়াসেই ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় দল। তারপর যদিও প্রতি আক্রমণে উঠে এসে গোল শোধ করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন এমবাপ্পে থেকে শুরু করে ভিনিসিওস জুনিয়ররা। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। বরং মিনিট তিনেক পর ফের গোল করে যায় পিএসজি। মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সোজা রিয়ালের রক্ষণভাগে হানা দেন ডেম্বেলে।
যাকে আটকানো সম্ভব ছিল না কারুর পক্ষেই। সেখান থেকেই আসে দ্বিতীয় গোল। তারপর ২৪ মিনিটের মাথায় হাকিমির ক্রস থেকে বল নিয়ে গোল করে যান ফাবিয়ান রুইস। প্রথমার্ধের শেষে সেই তিনটি গোলেই এগিয়েছিল ফ্রান্সের এই ফুটবল ক্লাব। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ বাড়িয়ে গোল তুলে নিতে মরিয়া ছিল রিয়াল মাদ্রিদ দল। তবে গোলের দেখা মেলেনি। বরং শেষ পর্যন্ত গনসালো রামোসের গোল হজম করেই মাঠ ছাড়তে হয় ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের দলকে।