CPM: ধর্মঘটের নামে বিক্ষোভ, সৃজনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের! আটক ১৯

বাংলাসহ গোটা দেশে বেকারত্বের প্রকোপ দিন  (CPM)  দিন বেড়েই চলছে। এই সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে, বিশেষ করে তরুণ সমাজের জন্য, বামপন্থী দলগুলোর ধর্মঘটের ডাক এক…

Chaos Erupts in Ganguly Bagan Over CPM Strike, Clashes with Police Intensify

বাংলাসহ গোটা দেশে বেকারত্বের প্রকোপ দিন  (CPM)  দিন বেড়েই চলছে। এই সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে, বিশেষ করে তরুণ সমাজের জন্য, বামপন্থী দলগুলোর ধর্মঘটের ডাক এক নতুন আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে, যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানে বুধবার সকাল থেকেই তীব্র অশান্তি শুরু হয়। ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সারা দেশে বিক্ষোভ, রেল অবরোধ, এবং বাস অবরোধের ঘটনা ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরে এই ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা বেশ শোরগোল ফেলে দেয়(CPM)  

গাঙ্গুলিবাগানে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল

   

ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়ে, এই আন্দোলনের মুখ্য(CPM)  নেতৃত্ব দেন এসএফআই-এর (স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। বুধবার সকালে যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান এলাকা থেকে শুরু হয় প্রতিবাদী মিছিল। এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, যুবক-যুবতী এবং বামপন্থী কর্মীরা। মিছিলে সমর্থন জানাতে টায়ার জ্বালানো হয় রাস্তায় এবং প্রতিবাদী স্লোগান দেওয়া হয় “বেকারত্ব রোধ করো, আন্দোলন চালাও”(CPM)  

এ সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দেওয়ার জন্য রাস্তার একাধিক পয়েন্টে অবস্থান নেয় এবং মিছিলটি বাধাগ্রস্ত করতে শুরু করে। গাঙ্গুলিবাগান এলাকায় পুলিশ এই মিছিলটি আটকানোর জন্য রাস্তার উপর একটি ব্যারিকেড তৈরি করে। এ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা অল্প সময়ের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে পরিণত হয়।

সৃজন ভট্টাচার্যের ওপর হামলা

এই পরিস্থিতির মধ্যেই সৃজন ভট্টাচার্য এবং পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটে। পুলিশ সৃজন ভট্টাচার্যকে টানাহেঁচড়া করতে থাকে, যার ফলে তাঁর শরীরে গুরুতর আঘাতের সৃষ্টি হয়। সৃজনের হাতে চোট লাগে, তাঁর জামা ছিঁড়ে যায় বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ অপ্রয়োজনীয়ভাবে সৃজনকে আঘাত করেছে এবং মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে, সৃজনকে পুলিশ পালটা ধাক্কা দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।(CPM)  

এদিকে, সৃজন ভট্টাচার্য মিছিল ছাড়ার বদলে আরো তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তিনি ঘোষণা করেন, “মিছিল এগোবেই, আমাদের আন্দোলন থামবে না।” তাঁর এই হুংকার আন্দোলনকারীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং তারা পুনরায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে।

Advertisements

মহিলা আন্দোলনকারীর অসুস্থতা এবং পুলিশি আচরণ

এছাড়াও, এই বিক্ষোভের সময় এক মহিলা আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি তীব্র উত্তেজনার মধ্যে শারীরিকভাবে অস্বস্তি অনুভব করে জমে থাকা ভিড়ে পড়ে যান। এরপর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আরও উদ্বেগ তৈরি হয়, কেননা পুলিশের আচরণ আরো বেশি কড়া ছিল, যা জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

রাজ্যে অশান্তির বর্ধিত প্রবাহ

ধর্মঘটের কারণে শুধু যাদবপুরই নয়, সারা বাংলাতেই অশান্তির পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে। রেল অবরোধ, বাস অবরোধ, ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় মানুষের চলাচলে বিপর্যয় ঘটে। ধর্মঘটকারীরা দাবী করেছেন যে, বেকারত্বের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আন্দোলন চলবে।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে। যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও, পুলিশ অবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য তাদের চেষ্টা চালিয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকায়, আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলন থামবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়।