পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) একটি বিস্ফোরক দাবি সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বৃত্তে তুফান তুলেছে। তিনি দাবি করেছেন যে, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুড্ডা একবার তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, প্রতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে সোনিয়া গান্ধীকে ৫০০ কোটি টাকা পাঠাতে হয়েছে, অন্যথায় তাঁর পদ রক্ষা হয় না। এই দাবি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলে ধরেছে, যা রাজনৈতিক বৃত্তে ব্যাপক আলোচনার কারণ হয়ে উঠেছে।
অর্জুন সিংহের এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে একটি সংবাদ সম্মেলনে, যেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নির্দেশ করেছেন। তিনি জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে টাকা উপার্জনের শিল্প শিখেছেন।” এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে সূচনা করে যে, কংগ্রেস পার্টির অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতিতে টাকার বিনিময়ে প্রভাব ও পদ রক্ষার একটি চলিত প্রথা ছিল। অর্জুন সিংহের দাবি অনুসারে, ভূপেন্দ্র হুড্ডা তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, প্রতি মাসে ৫০০ কোটি টাকা না পাঠালে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদ রক্ষা হয় না, যা স্পষ্টভাবে কংগ্রেস পার্টির ভিতরে সংস্থানিক দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
এই দাবির পটভূমিতে, সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক জীবন ও কংগ্রেস পার্টির সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করা যায়। সোনিয়া গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন সময়ে কংগ্রেস পার্টি বিভিন্নবিধ অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে, যার মধye সংস্থানিক দুর্নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজীব গান্ধীর সময়ে সম্পর্কিত দুর্নীতির অভিযোগও এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, যেখানে তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে, কংগ্রেস সরকারের অধীনে দুর্নীতি ৮৫ শতাংশ ছিল। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সময়ে এই পরিমাণ আরও বেড়ে ৯৫ শতাংশ হয়ে ওঠে, যা বর্তমানে বিজেপির শাসনের তুলনায় ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে, বলে অর্জুন সিংহের দাবি।
এই দাবির মাধ্যমে অর্জুন সিংহ কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছেন, যা রাজনৈতিক বৃত্তে ব্যাপক আলোচনার কারণ হয়ে উঠেছে। তিনি জানান যে, কংগ্রেস পার্টি ইতিহাসে কখনও ভারতের জন্য কোনো ভালো কাজ করেনি, বরং সর্বদা নিজেদের ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। তিনি আরও জানান যে, কংগ্রেস পার্টিকে টাকা উপার্জনের মেশিনে পরিণত করা হয়েছে, যা স্পষ্টভাবে দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়।
এই প্রসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি অর্জুন সিংহের মতে সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে টাকা উপার্জনের শিল্প শিখেছেন। এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে সূচনা করে যে, রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকার বিনিময়ে পদ রক্ষার একটি চলিত প্রথা ছিল, যা কংগ্রেস পার্টির অভ্যন্তরে স্থানীয় নেতাদের মধ্যেও প্রসারিত হয়েছে।
অর্জুন সিংহের এই দাবি রাজনৈতিক বৃত্তে ব্যাপক আলোচনার কারণ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে। তিনি জানান যে, কংগ্রেস পার্টি চীন ও আমেরিকার কাছ থেকে টাকা নেয়, যা স্পষ্টভাবে দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়। এই দাবির মাধ্যমে তিনি কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছেন, যা রাজনৈতিক বৃত্তে ব্যাপক আলোচনার কারণ হয়ে উঠেছে।
সামগ্রিকভাবে, অর্জুন সিংহের এই দাবি রাজনৈতিক বৃত্তে ব্যাপক আলোচনার কারণ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে। তিনি জানান যে, কংগ্রেস পার্টি ইতিহাসে কখনও ভারতের জন্য কোনো ভালো কাজ করেনি, বরং সর্বদা নিজেদের ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এই দাবির মাধ্যমে তিনি কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছেন, যা রাজনৈতিক বৃত্তে ব্যাপক আলোচনার কারণ হয়ে উঠেছে।